বাংলাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ছোট ছোট ব্রয়লার খামারীদের অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের সাথে সাথে শীত কালে আরেকটি সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়।
তা হল বাচ্চার তল পেটে পানি জমে যাওয়া
শীতকালে তল পেটে পানি জমার অন্যতম কারন হল ঘরে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব এবং অতিরিক্ত এমোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনো অক্সাইডের আধিক্য।
শীত কালে ঘরের তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য অধিকাংশ সময় পর্দা দিয়ে ঘরকে এয়ার টাইট করে রাখা হয়, এটা কমন প্র্যাক্টিস।
ফলে একদিকে ঘরে অক্সিজেন হ্রাস পায় এবং অন্যান্ন ক্ষতিকারক গ্যাস বৃদ্ধি পায়।
ব্রুডিং হাউজে তাপ যেমন দরকার তেমনি ফ্রেস বাতাস তথা অক্সিজেনও দরকার। তাই পর্দার উপরের দিক মাঝে মাঝে খুলে দিয়ে দূষিত গ্যাস বের করে দেওয়ার পাশাপাশি নির্মল বাতাস ঘরে প্রবেশ করাতে হয়।
দিনের বেলা উজ্জ্বল আলোর সময় পর্দা উপরের দিক থেকে অনেকটা খুলে রাখতে হয়।
কয়লা বা গ্যাস দিয়ে চুলা না জ্বালিয়ে, ঘরের তাপ ঠিক রাখার জন্য গ্যাস ব্রুডার বা ইফ্রারেড বাল্ব ব্যবহারে কার্বন মনো অক্সাইড এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সৃষ্টি হওয়া হ্রাস করা যায়।
পানিতে ভিটামিন ই ব্যবহার করলে তলপেটে পানি জমা হ্রাস করা যায়।
ঘরের লিটার বার বার নেড়ে দিয়ে এমোনিয়া হ্রাস করা যায়।
কিছু ক্ষেত্রে ব্যাক্টেরিয়া জনিত কারনেও তল পেটে পানি জমতে পারে।
কিডনি এবং লিভার টনিক ব্যবহারে তলপেটে পানি জমায় সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪সেপ্টেম্বর২০