শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা

106

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষিদের শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় আগাম সবজি চাষ শুরু করেছেন অনেকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মিলনপুর গ্রামের চাষি আতাউর রহমান বলেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় এবছর সময় মতো শীতকালীন আগাম সবজির চাষ শুরু করতে পেরেছি। এখন সকাল-বিকেল আমরা গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত আছি। এ বছর লাউ, চাল কুমড়া ও শিম চাষ করছি।

ঢোলারহাট ইউনিয়নের বড়দেশ্বরী এলাকার চাষি মিজানুর রহমান বলেন, আমরা শীত পড়ার আগেই চাল কুমড়া ও করলা লাগিয়েছি। এখন পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছি। আশা করছি আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করতে পারব। মনে হচ্ছে এ বছর বাজারে সবজির ভালো দাম পাব।

আগাম সবজি চাষ করা সারোয়ার বলেন, আমি এবার তিন একর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেছি। কিন্তু বর্তমানে সারসহ কীটনাশকের বেশি দাম হওয়ায় তেমন লাভবান করেত পারব না। তাছাড়া আমাদের এলাকার প্রায় সবাই সবজি চাষ করেছে। এতে করে আমরা আশা করতেছি ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির বিপ্লব ঘটবে। এই সবজি ঠাকুরগাঁওসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রপ্তানি করা হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ জেলার প্রান্তিক কৃষকরা এবছর ব্যাপক পরিমাণে লাউ, জালি কুমড়া, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক, বেগুন, করলা, শিমসহ নানা শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খুচরা ও পাইকারি বাজারে সবজির দামও বেশ ভালো পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, চলতি বছর শীতকালীন সবজির ব্যবসায় অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সবজির রাজধানী হিসেবে খ্যাত খড়ি বাড়ি গ্রামের সবজি চাষিরা অনেক উপকৃত হয়েছে। এই এলাকার আগাম সবজির স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে।