শেকৃবি এর কৃষি অনুষদের ১ হাজার ২০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। ২০০৩ থেকে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সেকেন্দার আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ ফজলুল করিম বিশেষ অতিথি এবং ডা. শারমীন সুলতানা রীতা প্রিয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের অভিভাবকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জনের জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি নিজের ও তাদের পরিবারের জন্য একটি গৌরবের ব্যাপার। সত্য ও সুন্দরের বহিঃপ্রকাশ করে একটি সুন্দর মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা পায়।
নাছিম আরও বলেন, পিতা-মাতার প্রতি যে দায়িত্ববোধ শিক্ষার্থীরা লালন করে, একই রকম দায়িত্ববোধ মেধাবীদের কাছে আশা করে মাতৃসম এই প্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয় তারা সবাই মেধাবী। মেধার সঠিক চর্চা ও নিয়মিত অধ্যাবসায় যদি কেউ না করে তাহলে সেই মেধার মূল্য থাকে না।
শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা সবার ভাগ্যে জুটে না। তারাই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে যারা অনেক বেশি পরিশ্রম করে। তবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত না হলে এসব পুরষ্কারের কোন দাম নেই। শুধু নিজের জন্য নয় সাধারণ মানুষের জন্য এ মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। উল্লেখ্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্রাজুয়েট অর্ডিন্যান্স ২০০৩, রিভাইজড ২০০৫, রিভাইজড ২০০৮ এবং রিভাইজড ২০১৪ এর ধারা ২১ অনুযায়ী ২০০৩ থেকে ২০১৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রতি লেভেলের ১ম ও ২য় সেমিস্টারের প্রত্যেকটিতে নূন্যতম জিপিএ ৩.৭৫ এবং ২০১৫ থেকে ২০১৮ শিক্ষবর্ষ পর্যন্ত নূন্যতম জিপিএ ৩.৮০ অর্জনকারী মোট ১,০২০ জন শিক্ষার্থী ডীন’স এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হয়েছেন। এ মধ্যে ৫৫২ জন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।
ডীন’স এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য রেজিস্টার্ড ৫৫২ জন শিক্ষার্থীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৬৮ জন শিক্ষার্থীর লিস্ট বিজ্ঞাপিত হলে ডীন, কৃষি অনুষদ বরাবর উপরোল্লেখিত মানদন্ড অনুযায়ী মার্কশীটসহ আবেদনপত্র জমা দিয়ে ডীন’স এ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট গ্রহণ করা যাবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ