শেরপুরে সবজি ক্ষেতের সাথে শত্রুতা!

120

শেরপুর সদর উপজেলার ১১নং বলাইচর ইউনিয়নের বলাইচর গ্রামের জালাল উদ্দীন ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। তিনি এবার তার সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ করে চিচিঙ্গার আবাদ করেছিলো। সবেমাত্র পরিপক্ক হতে শুরু করেছে চিচিঙ্গা। এক সপ্তাহের মধ্যে পাইকারী বাজারে তুলবে তার চিচিঙ্গা।

প্রতিদিনের মতো তিন আজ রোববার (২৭ আগষ্ট) ভোরে চিচিঙ্গা ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে নিজেদের খাওয়ার জন্য রোপন করা লাউ শাক তুলতে যায়। কিন্তু ক্ষেতের কাছেই গিয়ে দেখে সর্বনাশ হয়ে গেছে তার। প্রতিটি চিচিঙ্গা গাছের গোড়া কাটা। কে বা কারা কোন সত্রুতার জেরে এ গাছগুলো কেটে ফেলেছে তা তার মাথায় আসছে না।

জালাল উদ্দিন তার চিচিঙ্গা গাছের এমন অবস্থা দেখে প্রায় অচেতন হয়ে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে ছুটে আসেন তার স্ত্রী, পুত্র ও স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশী। সবাই এসে গাছের হাল দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সবাই। গ্রামের মানুষও আফসোস আর ধিক্কার জানাতে থাকে সবজি গাছের সাথে শত্রুতা দেখে।

এদিকে জলাল উদ্দিন তার স্বপ্নের চিচিঙ্গা ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় চোখে-মুখে এখন অন্ধকার দেখছে। কারণ এ সবজি বিক্রি করে তার ঋণ শোধ করা কথা। কিন্তু অদৃশ্য শত্রু তার সে স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন সে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান তিনি।

এবিষয়ে জালাল উদ্দিন জানায়, আমার বিরাট সর্বনাশ হয়ে গেলো। আমার ঋণ শোধ করবো কীভাবে তাই ভাবছি। আমি সন্দেহও করতে পারছি না কে এ কাজ করেছে। আমি এ বিষয়ে থানায় মামলা করবো।

এদিকে তার স্ত্রী ও সন্তানরাও হাতাশ হয়ে পড়েছে তাদের সংসারের খরচসহ অন্যান্য কাজ সারবে কীভাবে।

গ্রামবাসী জানায় শত্রুতা আছে মানুষের সাথে ফসলের সাথে এমন কাজ করা খুবই ন্যাক্করজনক, আমরা এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানায়।

এবিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানায়, সবজি ক্ষেতের সাথে শত্রুতার বিষয়টি খুবই জগঘ্ন একটি কাজ। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো। এছাড়া ওই কৃষককে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামশ্য দেন তিনি।