আমাদের দেশে জনপ্রিয় ফুলের মাঝে গস্নাডিওলাস অন্যতম এক ফুল। গস্নাডিওলাস যদিও বিদেশি ফুল- তথাপি আমাদের দেশের আবহাওয়ায় চাষ উপযোগী ও এর চাহিদা বেশি থাকার ফলে শুরু হয়েছে এ ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ। ফলে একদিকে এর বাণিজ্যিক চাষাবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা এর নতুন নতুন জাত আবিষ্কারে রাখছেন ভূমিকা।
উন্নত জাতের গস্নাডিওলাসের মাঝে বারি গস্নাডিওলাস-১, বারি গস্নাডিওলাস-২ ও বারি গস্নাডিওলাস-৩ উলেস্নখযোগ্য। তা ছাড়া এ জাতগুলো সারাদেশে চাষ উপযোগী জাত। গস্নাডিওলাস ফুলের চাহিদা দিন দিন যেন বেড়েই চলছে। রং বাহারি এ ফুল দিয়ে সাজানো হয় ফুলদানি, তোড়া, গেট, বাসর সজ্জা, মঞ্চসজ্জাসহ নানান অনুষ্ঠান।
এ ফুলের আদিনিবাস দক্ষিণ আফ্রিকা। পরিবার- ওৎরফধপবধব, উদ্ভিদতাত্ত্ব্বিক নাম- এষধফরড়ষঁং ঢ়ৎরসঁষরহঁং। গস্নাডিওলাস কন্দ জাতীয় ফুল গাছ। ভূগর্ভস্থ কন্দ থেকে পাতা ও ফুলের ডাঁটা বের হয়। কন্দের মাধ্যমে করা হয় এর বংশ বিস্তার। এর পাতার রং উজ্জ্বল সবুজ, আকারে লম্বা ও ছুরির মতো এবং অগ্রভাগ সূচালো।
ফুলের গাছ ও ডাঁটার দৈর্ঘ্য গড়ে ৩ থেকে ৪ ফুট হয়ে থাকে। ফুল ডাঁটার নিচ থেকে প্রথমে ফোটতে শুরু করে ধীরে ধীরে উপরেরগুলো ফোটে এবং ডাঁটায় ফুলগুলো সুন্দরভাবে সাজানো থাকে। ফুল গন্ধহীন। পাঁচ বা তার বেশি নমনীয় কোমল পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্ট গস্নাডিওলাস ফুল, মাঝে পরাগ অবস্থিত। সারা বছর ধরে গস্নাডিওলাসের ফুল ফোটে।
তবে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রম্নয়ারি মাসে বেশি ফুল ফোটে। রং বাহারি এ ফুলের রয়েছে লাল, নীল, গোলাপি, সাদা, হলুদ, কমলা ও মিশ্র রঙের ফুল। প্রায় সব ধরনের উর্বর মাটিতে চাষ করা যায়। তবে রৌদ্রউজ্জ্বল পরিবেশ, উঁচু জমি, উর্বর সুনিষ্কাশিত দোআঁশ থেকে বেলে দোআঁশ মাটিই গস্নাডিওলাস চাষে উত্তম।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ