শোল-টাকি জাতীয় মাছের (স্নেকহেড) নির্যাস দিয়ে একজিমা ও ব্যথানাশক ক্রিম, শাওয়ার জেল, লোশনসহ নানা প্রসাধন সামগ্রী বানানোর কৌশল উপস্থাপন করলেন মালয়েশিয়ার পুত্রা ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মানান ম্যাট জাইস।
সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে ‘অ্যাপ্রোচ অ্যান্ড ডাইরেকশন : ফিশ ইজ সোর্স অব প্রোটিন, ফাঙ্কশনাল-ফুড, মেডিসিন অ্যান্ড বায়োওয়েল্থ’ শীর্ষক সেমিনারে অধ্যাপক আব্দুল মানান ম্যাট জাইস এসব কৌশল তুলে ধরেন। যবিপ্রবির রিসার্চ সেল এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অধ্যাপক আব্দুল মানান ম্যাট জাইস বলেন, বাংলাদেশের শোল-টাকি জাতীয় মাছকে মালয়েশিয়াতে হারুয়ান প্রজাতির মাছ বলা হয়। তিনি তার সুদীর্ঘ অধ্যাপনা জীবনে শুধুমাত্র হারুয়ান প্রজাতির মাছের উপরই গবেষণা করেছেন। পরবর্তীতে তার গবেষণাগারে এ মাছের নির্যাস দিয়ে একজিমা ও ব্যথানাশক ক্রিম, শাওয়ার জেল, লোশন, ফুড সাপ্লিমেন্ট, ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল তৈরির কৌশল আবিষ্কার করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ মাছগুলো স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায়। তাই এর নির্যাসে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে কম খরচে এ ধরনের প্রসাধন ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যদি এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে তিনি তার গবেষণা কৌশল দিয়ে সহযোগিতা করবেন বলে জানান। সেমিনারে অধ্যাপক আব্দুল মানান ম্যাট জাইস স্বাদু পানির ও সামুদ্রিক মাছ নিয়ে তার কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট অব এ্যাডভান্স স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ওমর ফারুক, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকলেচুর রহমান, জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহেদুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রিসার্চ সেলের উপদেষ্টা ড. মো. মঞ্জুরুল হক।