তিনটি সংকর গাভী পালন খামারের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাবঃ
১. স্থায়ী মূলধন বিনিয়োগঃ
ক. জমি- নিজস্ব কিংবা ভাড়া
খ. শেড/ঘর- নিজস্ব তৈরি
গ. গাভী ক্রয় ৩ টি (৬০,০০০/-*৩)=১,৮০,০০০/-
২. আনুষঙ্গিক ব্যয়ঃ
ক. ঘাস- নিজস্ব চাষ করা উত্তম।
খ. খড়- নিজস্ব ব্যবস্থা করা যায়।
গ. দানাদার খাদ্য (৬ কেজি/৩/দিন/মূল্য)
(৬*৩*৩৬৫*২০/-) = ১,৩১,৪০০/-
ঘ. লেবার- নিজস্ব কিংবা বেতনভুক্ত
ঙ. ওষুধ, টিকা ইত্যাদি = ৩,০০০/-
মোট ব্যয় = ৩,১৪,৪০০/-টাকা
৩. আয়-
ক. দুধ বিক্রি থেকে- ১২ লিটার/গাভী/ দিন
(১২*৩*২৮০*৩৫) = ৩,৫২,৮০০/-
খ. বছর শেষে ৩টি বাছুর বিক্রি থেকে আয়
(৩*২০০০০/-)———-= ৬০,০০০/-
প্রথম বছর শেষে মোট আয় = ৪,১২,৮০০/-
প্রথম বছরে মুনাফা = মোট আয়-মোট ব্যয়
৪,১২,৮০০- ৩,১৪,৪০০=৯৮,৪০০/- টাকা
দ্বিতীয় বছরে মুনাফা= ৯৮,৪০০*১.৫ গুণ= ১,৪৭,৬০০/- টাকা
খামার স্থাপন পদ্ধতিঃ
আদর্শ ব্যবস্থাপনার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও সঠিকভাবে পরিচালনার মাধ্যমেই দুধ, মাংস উৎপাদন তথা গাভীর খামারকে লাভজনক করা সম্ভব।
১. খামারের সঠিক স্থান নির্বাচন যেমন-
– শুষ্ক ও উঁচু ভূমি -পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো হতে হবে
– সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থা – প্রয়োজনীয় জমির প্রাপ্যতা
– সুষ্ঠু নিষ্কাশন ব্যবস্থা- পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ
– মাটির প্রকৃতি ভালো হতে হবে- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা।
– জনবসতি থেকে দূরে
– রাস্তা থেকে দূরে
২. আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান তৈরি,
৩. উপযোগী জাত ও গাভী বাছাই করা,
৪. নিয়মিত টিকা প্রদান, কৃমিনাশক এবং প্রজনন সমস্যাজনিত চিকিৎসা প্রদান,
৫. প্রজননের সঠিক সময় নির্ধারণ,
৬. নির্ধারিত রেশন মোতাবেক খাদ্য প্রদান করা,
৭. কাঁচা ঘাস ব্যবস্থাপনা,
৮. গর্ভবর্তী গাভী ব্যবস্থাপনা,
৯. বাছুর ব্যবস্থাপনা,
১০. সঠিক দুধ দোহন পদ্ধতি
১১. বাছুরের মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম বিশেষ করে এঁড়ে বাছুর,
১২. বাজার ব্যবস্থাপনা।
গাভী পালনের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫সেপ্টেম্বর২০