সবজিতে আগুন লেগেছে

345

পেয়াজ আর সবজি

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকচালকদের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সব ধরনের পণ্য পরিবহন। আটকা পড়েছে বেশিরভাগ পণ্যের চালান। কাঁচা পণ্য হওয়ায় একদিনের ব্যবধানেই দাম বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে অন্যান্য পণ্যের দামে এখনো ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি।

কারওয়ানবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির কোনো ঘাটতি নেই। তবু বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। চলতি ধর্মঘটের প্রভাবে এরই মধ্যে প্রায় সব সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, কাঁচা পণ্যের বাজার সব সময়ই খুব সংবেদনশীল। প্রতিদিনই বিভিন্ন কারণে দর ওঠা-নামা করে। অন্য পণ্যের দাম বাড়তে সময় লাগলেও সবজির ক্ষেত্রে বেড়ে যায় এক বেলার ব্যবধানেই। কারণ দিনের সবজি দিনেই আড়ত থেকে কিনে বিক্রি হয় বাজারে। তবে এ কথা মানতে নারাজ সাধারণ ক্রেতারা, কাঁচা পণ্য হলেও সব ধরনের সবজির দাম একদিনেই রাতারাতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে যেতে পারে না।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি শিম ৬০ থেকে ৭০, ফুলকপি প্রতিপিস ৪০ থেকে ৫০, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০, মুলা ৫৫ থেকে ৬০, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটোল, ঢেঁড়স ৬০, করলা ৬০ থেকে ৮০, বরবটি ও কচুরলতি ৬০ থেকে ৭০, কচুরমুখির দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এ ছাড়া টমেটো ও শসা ১০০ থেকে ১২০, গাজর ৮০ থেকে ১০০ এবং দেশি নতুন আলু ১০০ থেকে ১১০ টাকায় কিনছেন ক্রেতারা। আগের দিনও এসব সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কম ছিল।

সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুর দিকে দাম চড়া থাকলেও গত শনিবার থেকে শীতকালীন সবজির দাম কমতে শুরু করেছিল। তবে চলতি ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর আড়তগুলোতে পণ্য সরবরাহ কমে গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা সবজি কম পাচ্ছেন। তাই দামও কিছুটা বাড়তি। চালকদের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবা) থেকে দাম আরও বাড়বে।’

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সব সময়ই সুযোগসন্ধানী। মুনাফার লোভে দুষ্টুরা সব সময় অজুহাতের খোঁজে থাকেন। আবহাওয়া, পরিবহন ধর্মঘটের মতো যে কোনো সুযোগে রাতারাতি অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন তারা। এটা ঘোর অন্যায়। ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন তারা। সরকারের উচিত প্রতিদিনের বাজার মনিটরিং জোরদার এবং দুষ্টু ব্যবসায়ীদের বিচারের আয়ওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা।’

এদিকে ধর্মঘটে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলেও দাম কমছে আলোচিত মসলা পেঁয়াজের। বিগত কয়েক দিনের মতো গতকালও সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। খুচরা বাজারে গতকাল দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ এবং বার্মিজ ও মিসরীয় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। বড় চালান বাজারে পৌঁছলে দাম আরও কমে যাবে বলে আশা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ