সমালোচনার মুখে নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যিক মৎস্যনীতি

589

new

নিউজিল্যান্ডে অবৈধভাবে ধরা মাছ নিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে মৎস্যশিকারিরা।  অবৈধভাবে মাছ ধরা হলেও তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া  হচ্ছে – এ সংক্রান্ত একটি সরকারি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর গতকাল তোপের মুখে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের জাঁকালো বাণিজ্যিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম। নিউজিল্যান্ডে মিনিস্ট্রি অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজ (এমপিআই) সাধারনত দেশের কোটা ব্যবস্থাপনার ওপর নজরদারি করে থাকে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্ত্রনালয়ের অবৈধভাবে মাছ ফেলে দেয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহনের ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করা হয়। এদিকে আপাতদৃষ্টিতে বরাদ্দকৃত কোটার মাছ ফেলে দেয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নেয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত পরিতাপের বলে জানিয়েছেন এমপিআইয়ের মহাপরিচালক মার্টিন ডুনে। সমালোচনা প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডুনে বলেন, সে সঙ্গে এটি খুবই হতাশাজনক যে, বিভ্রান্তি নিয়ে প্রক্রিয়ার সমালোচনা করা হয়েছে এবং উপযুক্ত দলিল ও কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই তা করা হয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণে অবৈধভাবে মাছ ফেলে দেয়ার সমস্যাটি নতুন বিষয় নয়। ৩০ বছরের বেশি সময় আগে কোটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গঠনের সময় থেকেই এ সমস্যা রয়েছে এবং এটি এমন একটি সমস্যা, যা নিয়ে সারা বিশ্বের মৎস্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম লড়াই করছে। এদিকে এমপিআই তার মৎস্য ব্যবস্থাপনা এবং অবৈধভাবে মাছ ফেলে দেয়া সংক্রান্ত ও বিভিন্ন কার্যক্রম আধুনিকায়ন করের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচিতে ২০১৭ সালের অক্টোবর  নাগাদ নিউজিল্যান্ডের ১ হাজর ২০০টি  বাণিজ্যিক মাছধরা নৌকার সবগুলোর ইলেকট্রনিক পর্যাবেক্ষন ত্বরাম্বিত বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ডুনে বলেন, বাস্তবতা হলো কিছু বাণিজ্যিক মৎস্যআহরণকারীদের ধরতে হবে। অনেকেই রয়েছেন যারা অনেক বেশি দায়িত্বশীল, তবে এটাও সত্যি- এমন কিছু লোক রয়েছে যারা আইন মেনে চলার প্রতি কম শ্রদ্ধাশীল। ভবিষ্যৎ  প্রজন্মের জন্য এবং নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক খ্যাতি রক্ষার্থে মাছের মজুদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, যার জন্য বিভিন্ন চর্চা গ্রহন ও ও আনুশীলন করা এ শিল্পের দায়িত্ব। তবে পরিবেশবাদীরা জানিয়েছে, মাছ ধরার নৌকা পর্যাবেক্ষণের দায়িত্ব এমন একটি কম্পানিকে দেওয়া হয়েছে, যেটি নিয়ন্ত্রণ করছে একটি বানিজ্যিক মৎস্য আহরন প্রতিষ্ঠান। যার অর্থ এমপিআইও শিল্পের মত ধসে পড়েছে। এ বিষয়ে গ্রিনপিস নিউজিল্যান্ডের নির্বাহী পরিচালক রাসেল নরম্যান বলেন, ইদানীং মাছ ধরা কঠিন হয়ে পড়ছে যদিও নিউজিল্যান্ডবাসীরা এটা ভেবে অবাক, তবে বলতে হয় – এমপিআই অবৈধভাবে নিয়মতান্ত্রিক মাছ ফেলা ধামাচাপা দিতে মৎস্য শিল্পকে সাহায্য করে যাচ্ছে। সামুদ্রিক পরিবেশের সুরক্ষার খাতিরে এবং দেশবাসীর স্বার্থে মাছের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে মন্ত্রণালয়ের তারা সংস্কৃতির পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বন ও পাখি সংরক্ষণ দলটি।

খবর সিনহুয়া।