লেয়ার মুরগির খামার পরিকল্পনায় অবশ্যই ভেবে রেখেছেন সর্ব্বোচ্চ ডিম পাওয়ার বিষয়টি। কিন্তু এই সর্ব্বোচ্চ ডিম পেতে অগ্রণী ভূমিকায় থাকা লাইটিং শিডিউল বিষয়টি জানতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক, সর্ব্বোচ্চ ডিম পেতে লেয়ার মুরগির লাইটিং সিডিউল শুরুর পূর্বে করণীয় গুলো কী।
কয়েকটি ধাপ পার হওয়ার পরই আপনার খামার থেকে সফলতা আসবে। এরমধ্যে অন্যতম হলো লাইটিং শিডিউল। প্রয়োজনে একটি ডায়েরিতে সব নিয়ম কানুন লিখে সেটা ফলো রাখতে হবে। স্মার্ট ফার্মিংয়ে না গেলে কাঙ্খিত সফলতা আসবে না।
শুরুতে পুলেটের ১৬ সপ্তাহ বয়সের মধ্যে জাত অনুসারে অবশ্যই টার্গেট দৈহিক ওজন অর্জন করাতে হবে। মনে রাখতে হবে টার্গেট ওজন অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লাইটিং সিডিউল চালু করা যাবে না যদিও ৫ থেকে ১০% উৎপাদন চলেও আসে তাতেও নূন্যতম ২২ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিৎ।
এছাড়া লাইটিং সিডিউল শুরুর সময় যখন দিনের আলো বেশি সময় থাকে (দিনের দৈর্ঘ্য) তখন ১৪.০০ ঘন্টা আলো দিয়ে শুরু করলে দ্রুত ডিম উৎপাদন বাড়বে।
আর লাইটিং সিডিউল শুরুর সময়ে যখন দিনের আলো কম সময় ধরে থাকে (দিনের দৈর্ঘ্য) তখন ১৩.৫০ ঘন্টা আলো দিয়ে শুরু করলে দ্রুত ডিম উৎপাদন বাড়বে।
খুবই মনোযোগ সহকারে মনে রাখতে হবে যে, সঠিক দৈনিক ওজন না আসলে লাইটিং সিডিউল চালু করলে অনেক সমস্যা হবে। এরমধ্যে অন্যতম হলো: ছোট ডিম আসবে। প্রোলাপ্সে লেয়ারে মৃত্যু হার বাড়বে।
পিক প্রোডাকশন না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অথবা দ্রুত পিক প্রোডাকশন আসবে না, পিক প্রোডাকশন আসলেও দ্রুত ডিম উৎপাদন কমে যাবে কোন রোগব্যাধি ছাড়াই।
মনে রাখতে হবে, সঠিক দৈহিক ওজন আসাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক দৈহিক ওজন না আসা পর্যন্ত লাইটিং সিডিউল চালু করলেই নানা সমস্যা ও ঝুঁকি লেগেই থাকবে। তখন খামার ক্ষতিতে পরেবে।
সর্ব্বোচ্চ ডিম পেতে লেয়ার মুরগির লাইটিং সিডিউল শুরুর পূর্বে করণীয় শিরোনামের লেখাটি লিখেছেন পিপিবি’র সমন্বয়ক ও পোল্ট্রি কনসালটেন্ট ডা. অঞ্জন মজুমদার।