সাতক্ষীরায় কলা চাষে ভাগ্য বদল

1489

সাতক্ষীরায় কলা চাষ

সাতক্ষীরার কলাচাষির সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশেষ করে বেকার যুবকদের কাছে। ফলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও এসেছে তাঁদের। কৃষকরা এখন পুরনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় সহস্রাধীক কলা বাগান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭২১ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ১৫০ হেক্টর, কলারোয়ায় ৭৫, তালায় ৭৮ হেক্টর, দেবহাটায় ৮ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৩৮০ হেক্টর, আশাশুনিতে ২৫ হেক্টর এবং শ্যামনগরে ৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে।

এবছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন।

এরমধ্যে- সাতক্ষীরা সদরে ২৭০০ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ১৬৫০, তালায় ১৭৬৭, দেবহাটায় ৮০, কালিগঞ্জে ২৬৯৫, আশাশুনিতে ৬২৫ এবং শ্যামনগরে ৭৫ মেট্রিক টন। এছাড়া বসতবাড়িসহ ব্যক্তি পর্যায়ে জেলায় ব্যাপকভাবে কলা চাষ হয়েছে।

সদর উপজেলার ঘুটেরডাঙ্গীর কলা চাষি আশেক আলী বলেন, সাতক্ষীরায় হাইব্রিড জাতের সাগর কলা চাষ করে তারা লাভবান হচ্ছেন। অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ হওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হচ্ছে। বাড়ছে পরিধিও। অন্যদিকে বাজারে কলার ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

বাশদহা গ্রামের কলা চাষি পলাশ মণ্ডল জানান, ৮-১০ বছর ধরে তিনি সাগর কলা চাষ করছেন। চলতি বছরেও প্রায় ৭ বিঘা জমিতে এ জাতের কলা চাষ করেছেন। অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় তার প্রথম পছন্দ কলা চাষ।

পলাশ মণ্ডল আরো জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সাগর কলা চাষ করতে খরচ হয় ৩৫-৪০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করা যায় ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, সব উপজেলায়ই কমবেশি কলা চাষ করা হয়। তবে সদর উপজেলার ঘুটেরডাঙ্গী গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে সাগর কলা চাষ হচ্ছে। জেলার মাটি ও আবহাওয়া সব ধরণের ফসলের উপযোগী। এখানে বারো মাসই বিভিন্ন ধরণের ফসল ফলে। তার মধ্যে অর্থকরী ফসল হিসেবে এখন কলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।