সাদুল্যাপুরে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর ফসলি ক্ষেত পানির নিচে

395

600000-pic
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা থেকে: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে কৃষকের ফসলি ক্ষেত। রোপা আমন ও শাক-সবজি সহ চলমান বন্যায় ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর আবাদী জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
কৃষকরা ধার-দেনা করে ফসল বুনলেও কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কৃষকের দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গ্রহীত ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবে এ নিয়ে নির্ঘুম রাত পোহাচ্ছে কৃষকমহল।

বন্যার পানিতে ডুবে গেছে কৃষকের স্বপ্নের রোপা-আমন। পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় উৎকণ্ঠায় আছেন অধিকাংশ কৃষক। এ বিপুল পরিমাণ রোপা আমন ধান ও শাক-সবজির ক্ষতি কি করে পুষিয়ে নেবে এই চিন্তায় কৃষক পরিবারগুলোর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতি খাদ্য সংকটের অশনি সংকেত বলে অনেকে মনে করছেন।

এবারে আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না পারলে ধান উৎপাদনের ঘাটতিতে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন খাদ্য ব্যবসায়ীরা।

জামালপুর এলাকার রাজা মিয়া জানান, বন্যার কারণে বাজারে শাকসবজি ও চালের দাম বেড়ে গেছে। কেজিতে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকায়। চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে প্রায় ৫০ টাকায়।

রসুলপুর গ্রামের কৃষক সাজু মিয়া জানান, টাকা ধার-দেনা করে ৫ বিঘা জমিতে আমন ফসল লাগালেও আকস্মিক বন্যায় সব নিমজ্জিত হয়ে আছে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রভাত চন্দ্র অধিকারী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর একটি পরামর্শমূলক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, বন্যায় নিমজ্জিত রোপা আমন বীজতলার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারার গায়ে লেগে থাকা কাদা সম্ভব হলে পরিষ্কার করতে হবে। পাতার পানি শুকানোর পর ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। রোপণকৃত রোপা আমনের নিমজ্জিত ফসলের পাতার কাদা সম্ভব হলে জরুরি ভিত্তিতে সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্যার পানিতে পচে যাওয়া কুশির জায়গায় আবার ধানের চারা রোপণ করে ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনবোধে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরিয়া এবং এমওপি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেত ও ৮৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে এসবের অর্ধেকাংশই পুনঃরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কৃষি অধিদপ্তর।

কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. ফজলে এলাহী বলেন, “পানি নেমে গেলে নতুন করে চারা রোপণ করতে হবে। পুনরায় আমন চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরির পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।”

Preserving the value of your feed – with MoldCid

বরগুনায় বাণিজ্যিকভাবে পশু খামার চালু

মেহেরপুরে এবার ১১৪ কোটি টাকার কোরবানির পশু বেচা-কেনার আশা

ফার্মসঅ্যান্ড ফার্মার২৪ডটকম/এম