একমাস আগেও যে আলুর দাম ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি, এখন তা বিক্রী হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায়। আলুর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেগুনের দামও। একমাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে বেগুনের দাম ঠেকেছে ৮০ টাকায়। এছাড়াও বাড়ছে সব ধরনের সবজর দামও। আর সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। কয়েক দফা বন্যা আর অতি বৃষ্টিও প্রভাব ফেলেছে সবজির দামে।
সিটি বাজার, রংপুরের সবচে বড় এই পাইকারি ও খুচরা বাজারে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবজির সরবরাহ কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। ১০ দিন আগেও রংপুরের সবজি বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৭৫ টাকা, আলু ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, মরিচ বিক্রী হতো ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু এখন সব সবজিরই চড়া দাম।
ব্যবসায়ীরা জানান, সব সবজিতেই পার কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে। আমাদেরকেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
এদিকে সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সংকটে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা। তারা জানান, মাছ, মাংসের যেমন দাম সবজির দামও একই। আমাদের নাগালের বাইরে সব ধরণের সবজির দাম।
তবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাজার সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, যদি যোগানের সমন্বয় না থাকে তাহলেই কিন্তু আমাদের ব্যাত্যয় ঘটে। এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না,খুব শীঘ্রই এ অবস্থার উন্নতি হবে। শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু হয়েছে।
মৌসুমের শেষের দিকে হওয়ায় নরসিংদীর ৯টি পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম, দামও চড়া।
একমাস আগে আলু ছিল ৪০ টাকা আর বেগুন কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে আলু ৫০ থেকে ৫২ এবং বেগুন ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায়। এছাড়া, কাকরোল, ঢেঁড়শ, বরবটি, লালশাক, শসা, ধনেপাতা, করলা ও লাউয়ের দামও বাড়তি।
কৃষকরা বলছেন, অতিবৃষ্টিতে বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির চারা পঁচে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। ক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সবজি কম পাওয়ায় বাজারদর চড়া।
চলতি মৌসুমে নরসিংদীর ৬ উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে সবজি।
সূত্র: ডিবিসি নিউজ
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৪অক্টোবর২০