সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

394

ভাল ফলনের জন্য সুষম সার ক্ষেতে প্রয়োগ করুন।

সার প্রয়োগের দুটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।
#প্রথমত: আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতার মান যাচাই এবং ধানের জাত, জীবন কাল, উৎপাদন মৌসুম ও ফলনের মাত্রা।

#দ্বিতীয়ত : সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কোন সার কখন এবং কিভাবে প্রয়োগ করবেন।

ধানের মৌসুম অনুযায়ী সারের মাত্রা (কেজি/একর):

বোরো : শেষ চাষের সময়

ইউরিয়া: ৩০-৪০ কেজি,
টি এস পি: ৫০ কেজি,
পটাশ: ৬০ কেজি,
জিপসাম: ৩৫ কেজি,
দস্তা/জিংক সালফেট: ৩ কেজি,
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট: ৬ কেজি,
বোরন : ১ কেজি।

ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ

চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর ৩০-৪০ কেজি

চারা রোপনের ৩০-৩৫ দিন পর ৩০-৪০ কেজি

চারা রোপনের ৪৫-৫০ দিন পর ৩০-৪০ কেজি

জৈব সার যেমন ধৈঞ্চা বা ডাল জাতীয় ফসল, গোবর বা পচা আবর্জনা ব্যবহার করলে ইউরিয়া সার ৩০-৪০% কম লাগে।
প্রথম দিকের কুশি গজানোর সময় ইউরিয়া সার ব্যবহারে কার্যকর কুশীর সংখ্যা বাড়ায়।
সর্বোচ্চ কুশি উৎপাদন থেকে কাইচথোর আসা পর্যন্ত পরিমিত নাইট্রোজেন প্রতি ছড়ায় পুষ্ট ধানের সংখ্যা বাড়ায়।
ফুল আসার পর পরিমিত নাইট্রোজেন ধানের দানা পুষ্ট করে ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২জানুয়ারি২০২১