দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে গবেষণা কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারকেও গবেষণা অনুদান আরও বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ দেশ ও জনগণের উন্নতির জন্য গবেষণার বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ১৩ জুলাই (শনিবার) অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোঃ আফছারুল আমীন, এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, গবাদি প্রাণি, মৎস্য উৎপাদনসহ কৃষি ক্ষেত্রে আজ যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা কেবল গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। তাই গবেষণার জায়গায় পিছপা হলে চলবে না, তাহলে দেশ ও জনগণের ক্ষতি হবে। তিনি গবেষণা কাজে সরকারি সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার সকাল ১০টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে বাংলাদেশে ভালো ভালো গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু এসব গবেষণা কর্ম যথাযথভাবে ফোকাস হচ্ছে না। যার ফলে আমরা বিশ^বিদ্যালয়ের বিশ^ র্যাংকিং-এ পিছিয়ে আছি। গবেষণা কার্যক্রম ফোকাস করার ক্ষেত্রে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারি।
তিনি আরও বলেন, মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনায় বিদেশি অর্থায়নের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ গবেষণা কার্যক্রমে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে পারবেন। আগামীতে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে গবেষণা অনুদান আরও বৃদ্ধি করা হবে।
পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিভাসু’র গবেষণা কার্যক্রমের উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কবিরুল ইসলাম খান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী। এ সময় অনুষদীয় ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং এমএস ও পিএইচডি গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কর্মশালার তিনটি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ২০টি গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়েছে।