সিরাজগঞ্জে পোল্ট্রি শিল্পে ধস, বন্ধ হচ্ছে খামার

241

খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা, ওষুধ ও ১ দিনের বাচ্চার দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। অন্যদিকে উৎপাদিত মুরগি ও ডিমের দাম কম হওয়ায় ধস নেমেছে সিরাজগঞ্জের পোল্ট্রি শিল্পে। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার প্রায় ৬০ ভাগ খামার।

মাত্র কয়েক বছর আগেও দেশের পোল্ট্রি শিল্প লাভজনক অবস্থানে ছিল। প্রশিক্ষণ আর স্বল্প পুজি নিয়ে এই শিল্পে উৎসাহী হয়ে উঠেছিল বেকার যুবকেরা, সৃষ্টি হয়েছিল নতুন উদ্যোক্তা। সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছিল ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার পোল্ট্রি খামার। কিন্তু করোনা ধাক্কায় পাল্টে যায় সেই চিত্র। সেই ধাক্কা সামলে নতুন উদ্দমে খামারীরা অর্থ বিনিয়োগ করলেও দফায় দফায় পোল্ট্রি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, খামার থেকে লাভ না আসায় এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন তারা।

খামারীদের অভিযোগ করে বলেন, খাদ্যের দাম, ১দিন বয়সী বাচ্চা ও ওষুধের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেলেও কিন্তু সে তুলনায় বাড়ছে না উৎপাদিত ডিম ও মুরগির দাম। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রান্তিক খামারিদের। লোকসানে পড়ে পুঁজি হারানোর ভয়ে অনেক খামারি ইতিমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। এতে বেকার হয়ে পড়েছে এই শিল্পের সাথে জড়িত শত শত শ্রমিক।

সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি ভাবে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন খামারীরা।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বলেন, খাবারের চড়া দাম এবং অজানা কিছু রোগের কারণে এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । সহজ শর্তে যদি ঋণ প্রদান করা যায় তাহলে তারা আবার ঘুরে দাড়াতে পারবে বলেই আশা করি।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত প্রান্তিক খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি সরকারি ভাবে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর কে অবহিত করা হয়েছে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২১মে ২০২২