[su_slider source=”media: 4315,4316,4317,4318″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]
একেএম রেজাউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: বর্তমানে ছাদবাগানের জনপ্রিয়তা বেশ। অধিকাংশ শহরগুলোর বাড়ির ছাদের দিকে তাকালেই এ ধরনের বাগান দেখা যায়। অবশ্য এসব বাগানের অধিকাংশই অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। তবে সিরাজগঞ্জ সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রোস্তম আলী কৃষি অফিসের ছাদে সুপরিকল্পিতভাবে সবজি, ফল, ফুলের বাগান রচনা করেছেন। তাঁর ছাদে আম, আঙুর, বেদানা, ডালিম, আমড়া, পেয়ারা এ ধরনের নানা মৌসুমি ফল ছাড়াও কলমিশাক, কলা, ডাঁটা, লাউসহ ১’শ ৫০ প্রজাতির ফল-সবজি চাষ হচ্ছে। শখের বশে প্রথমে তিনি রোপণ করেন ক্যাকটাস জাতীয় ফুলের চারা। পরবর্তিতে সবজি ও ফলের চারা রোপণ করে বাগান সম্প্রসারণের মাধ্যমে এর উৎপাদিত পণ্য পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে বিতরণ করছেন।
ছাদবাগানের শুরুতেই তিনি চারা রোপণ ও অন্যান্য পরিচর্যার কাজ নিজেই হাতেই করতেন। এখন তাঁর বাগানে ফল-সবজির উৎপাদন শুরু হয়েছে। অফিস কমপ্লেক্সের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি বাগান দেখতে এলে তাদেরকে বাগান করার কৌশল শিখিয়ে কিছু ফল-সবজির চারা দিয়ে দেন। বাগানের দর্শকরা তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁরা বাগান করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আরশেদ আলী, সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রেন জন চাম্বু গং এবং উপজেলার কমপ্লেক্সের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তাঁর বাগান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। এরকম বাগান করার প্রতি সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, ছাদে বাগান করা সাধারণ বাগানের মতোই সহজ; শুধু সারের মাত্রা হবে সুষমহারে, সময়মতো পরিচর্যা আর সেই সাথে কিছু খরচ করার মনোভাব থাকতে হবে।
তিনি শহরবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, যেহেতেু শহরে জমির অভাব, তাই বিকল্প উপায় হিসেবে ছাদকে কাজে লাগিয়ে বাগান করা যায় এবং এ বাগানের মাধ্যমেই পরিরারের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফল-সবজি অন্যদেরও বিতরণ করা যায়। এতে শুধু মনের আনন্দই বিকশিত হয় না, অবসর সময়টুকু স্বাচ্ছন্দে কাটানো যায়। ছাদবাগানের মাধ্যেমে শহুরে ছাত্র-ছাত্রী, বেকার যুবক-যুবতির বাড়তি দু’টো টাকা আয় হয়। পাশাপাশি অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করে নির্মল আনন্দে সময় কাটাতে পারে। তিনি ভার্মিকম্পোস্ট সার তৈরি করে ছাদবাগানে ব্যবহার করছেন। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমছে। ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচো সার একটি সম্পূর্ণ জৈব সার। তিনি চারটি সিমেন্টের পাকা চৌবাচ্চা তৈরি করে এ সার উৎপাদন করছেন। ইতোমধ্যেই তিন চৌবাচ্চার সার তাঁর কর্মএলাকার চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। এখন তিনি উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে পরিগণিত ।