বহুবর্ষজীবী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝোপালো ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বাংলাদেশে হাজার বেলি, সহস্রবেলি নামে পরিচিত। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি সাধারণত চাইনিজ বোয়ার নামে পরিচিত। ইংরেজিতে ঈযরহবংব এষড়ৎু ইড়বিৎ, ঐড়হড়ষঁষঁ ৎড়ংব, এষড়ৎু :ৎবব, ঝঃরপশনঁংয ইত্যাদি নামে পরিচিত।
পরিবার ঠবৎনবহধপবধব, বৈজ্ঞানিক নাম ঈষবৎড়ফবহফৎঁস ভৎধমৎধহং আমাদের দেশে বিশেষত রাস্তার ধার, পরিত্যক্ত জায়গা, জলার ধার ও বনের ধারে এ গাছ অনায়াসে জন্মে। তবে এ সব স্থানে ইদানীং এর দেখা কম মিলে। তা ছাড়া ফুলপ্রেমীর বাগানে চোখে পড়তে পারে। গাছ দ্রম্নতবর্ধশীল ও বেশ কষ্টসহিষ্ণু।
এর গাছ উচ্চতায় গড়ে ৪ থেকে ছয় ৬ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাতা আকারে বড় ও ডিম্বাকৃতির। বোঁটা বেশ লম্বা, রং গাঢ় সবুজ, শিরা-উপশিরা স্পষ্ট, কিনারা হালকা খাঁজ কাটা, রসালো ও নরম মানের হয়। বংশ বিস্তার ঘটে লতার মাধ্যমে। গাছের শাখার অগ্র মাথায় ফুল ফোটে। ফুল ফোটার মৌসুম গ্রীষ্মকাল।
গন্ধ ও গঠনে বেলি ফুলের সঙ্গে মিল থাকায় আমাদের দেশে এটি হাজার বেলি নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ ফুলের একটি থোকায় সাধারণত ৫০ থেকে ৬০টি পর্যন্ত ফুল ফোটে। ফুল দেখতে প্রায় বেলি ফুলের মতো হলেও হাজার বেলি ফুলের গঠন অনেক বেশি সুগঠিত, দৃষ্টিনন্দন ও নজরকাড়া।
এর প্রতিটি ফুলে তিন থেকে পাঁচ স্তর পাপড়ি থাকে। প্রতিটি ফুল সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত অবস্থায় তিন দিন থাকে। ফুলের রং সাদা থেকে হালকা গোলাপি আভাযুক্ত। থোকায় ফুলগুলো পর্যায়ক্রমে ফোটে। তাই একটি থোকায় প্রায় মাসখানেক ধরে ফুল ও ফুলের সৌরভ বিদ্যমান থাকে। ফুলে রয়েছে মিষ্টি সুঘ্রাণ।
তা ছাড়া সকাল ও সন্ধ্যায় ফুলে ঘ্রাণের তীব্রতা বহুগুণ বেড়ে যায়। রং আর ঘ্রাণের আকর্ষণে ফুলকে ঘিরে হরেক রকম পতঙ্গের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। হালকা ছায়া থেকে রৌদ্রউজ্জ্বল পরিবেশ, উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে হাজার
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ