‘
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার জন্য প্রোটিন নিশ্চিত করতে হবে। শরীরের প্রয়োজন মত পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ ছাড়াও সাধারণ জনগণের মাঝে প্রোটিন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ইউ.এস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রোটিন ফর অল’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা এসব কথা বলেন।
এতে চিকিৎসক, রন্ধন শিল্পী, পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠনে ডিম, দুধ, মাছ, মাংসসহ সব ধরনের প্রোটিন খাদ্যের গুরুত্ব উপস্থাপন করেন।
আলোচকরা বলেন কেবল মুখরোচক খাবার নয় বরং সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এমন প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে যা খুব সহজেই হজম হয়। ডিম, দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাবারগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস। কাজেই খাদ্য তালিকায় এসব পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করার কথা বলেন সেমিনারে আগত বিশেষজ্ঞরা।
বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামসুন্নাহার নাহিদ (মহুয়া), প্রধান পুষ্টিবিদ, পুষ্টি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।
আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, ডা. কামরুল হাসান খান, ইউএসইসি কনসালট্যান্ট মি. পাওয়ান কুমার, প্রখ্যাত রন্ধন শিল্পী নাহিদ ওসমান প্রমুখ।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ. সম্পাদক মাহবুব হাসান, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. ফা হ আনসারী, বিপিআইসিসি নেতৃবৃন্দের মধ্যে সিরাজুল হক, ডা. এসএমএফবি আব্দুস সবুর, এএম আমিরুল ইসলাম ভুইয়া প্রমুখ।
প্রতিদিন কি পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে, কখন গ্রহণ করতে হবে, প্রোটিনের মধ্যে কোনটি ভালো ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, সুস্থ-সবলভাবে বাঁচতে হলে পর্যাপ্ত এবং মানসম্পন্ন প্রোটিন গ্রহণের বিকল্প নেই। শিশুর দৈহিক গঠন ও মেধার বিকাশে এবং প্রসূতি মায়েদের পুষ্টিকর খাবার দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রোটিন ঘাটতির কারণে মানবদেহে কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে সে বিষয়েও সচেতন থাকা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যগত বিষয় বিবেচনায় মুরগির মাংস অনেক বেশি সমাদৃত। তাছাড়া প্রচুর মাংস থাকে বলে শিশুদের কাছে পোল্ট্রি মাংস বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া ডিমের মত এমন একটি খাদ্য নিয়মিত গ্রহণে কী কী উপকার হয় সেটি তারা উপস্থাপন করেন।
বিপিআইসিসি-এর উপদেষ্টা শ্যামলকান্তি ঘোষের সঞ্চালনায় ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, সরকারি তীতুমীর কলেজ, ঢাকা কলেজ. মহাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকরা চমৎকার এক প্রশ্নোত্তোর-পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
সুস্থ-সবলভাবে বেড়ে ওঠা এবং কর্মক্ষম জীবনের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প। জনসংখ্যা বাড়ছে অথচ প্রতিদিন কমছে জমি। তাই আগামী দিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, সাশ্রয়ীমূল্যে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ এবং পুষ্টিকর খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে করণীয় কী সে বিষয়ে এখন থেকেই চিন্তা-ভাবনা করতে হবে বলে মনে করেন পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/শফিকুল/মোমিন