সোনালী মুরগির ব্রুডিং ব্যবস্থাপনায় যেসব কাজ করতে হবে সে বিষয়ে অনেক খামারিরা তেমন কোন ধারণা রাখেন না। বর্তমান সময়ে মুরগি পালন একটি লাভজনক পেশা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মুরগি পালনের মাধ্যমে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আজকের এ লেখায় আমরা জেনে নিব সোনালী মুরগির ব্রুডিং ব্যবস্থাপনায় যেসব কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে-
সোনালী মুরগির ব্রুডিং ব্যবস্থাপনায় যেসব কাজ করতে হবেঃ
মুরগির ব্রুডিং ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু কাজ করতে হয়। সোনালী মুরগির ব্রুডিং ব্যবস্থাপনার কাজ নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
১। সোনালী মুরগির ব্রূডারের প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন- লিটার পেপার, চিকগার্ড, পানি, হোভার, খাদ্যের পাত্র সব ২-৩ ঘন্টা আগেই সঠিক স্থানে বসিয়ে দিতে হবে।
২। অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং বার বার পর্যবেক্ষণ করতে হবে তাপমাত্রা বাচ্চার উপযোগী আছে কিনা।
৩। ব্রুডারে বাচ্চা নিয়ে আসার ৩০ মিনিট আগে থেকেই পানিতে দ্রবণীয় কোন প্রোবায়েটিক দিয়ে আশপাশে ভালো করে স্প্রে করে দিতে হবে।
৪। বাচ্চাসহ প্রতিটি বক্সের ওজন নিতে হবে এবং তা খাতায় লিখে রাখতে হবে। এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী বাচ্চার ওজন নির্ণয় করতে হবে।
৫। ব্রুডারে বাচ্চা ছেড়ে দেওয়ার পর বাচ্চাকে বেশ কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাচ্চার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন বাচ্চা দুর্বল হয়ে গেলে সেগুলোকে আলাদা করে গ্লুকোজের পানি খাওয়াতে হবে।
৬। বাচ্চা নিয়ে আসার ১০ মিনিট পর খাদ্য প্রদান করতে হবে। শুরুতে পেপার বা কাগজে ছিটিয়ে দিতে হবে এবং এরপর থেকে ট্রেতে খাদ্য দিতে হবে।
৭। প্রয়োজন হলে গ্লুকোজের পানি দিতে হবে আর তেমন প্রয়োজন না হলে সাদা পানি দিলেও কোন তেমন কোন সমস্যা হবে না।
৮। ব্রুডার থেকে অভ্যন্তরীণ গ্যাস যাতে বের হয়ে যেতে সেজন্য মাঝে মাঝে ব্রুডারের এক পাশে ফাঁকা স্থান রাখতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮জুন ২০২২