সোনালী মুরগির ভ্যাকসিন ও ঔষধ প্রয়োগে করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে মুরগি পালন একটি লাভজনক পেশা। মুরগি পালন করে অনেকেই তাদের দারিদ্রতা দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আমাদের দেশে সোনালী মুরগি পালন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসুন জেনে নেই সোনালী মুরগির ভ্যাকসিন ও ঔষধ প্রয়োগে করণীয় সম্পর্কে-
সোনালী মুরগির ভ্যাকসিন ও ঔষধ প্রয়োগে করণীয়ঃ
আপনি যেমন সুস্থ পরিবেশে থাকলে আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, তেমন যা আপনাকে বছরের বছরের পর লাভ এনে দেবে তার থাকার পরিবেশ এবং খামারের পরিবেশ, খাবার পানি পরিষ্কার এবং জীবানু মুক্ত থাকলে আপনি ৭০% ঔষধ খরচ কমাতে পারবেন। বাকিটুকু আপনার দক্ষতা, পরিশ্রম এবং ধৈর্য আপনাকে সাহায্য করবে।
যে কোন মুরগী সেটা সোনালী হোক বা ব্রয়লার, ঘরের মেঝে এবং ফার্মের পাশে ৫ ফুট দুরত্বে লবণ পানি দিয়ে দিবেন। প্রতি ১০০ লিটার পানিতে ৫০০ গ্রাম। এর পর শুকানোর পর ১ কেজি চুন প্রতি ১০০০ বর্গফুট জায়গা অনুযায়ী মাটিতে লেপবেন। সেটা শুকানোর পর যে কোন ভাল জীবানু নাশক দিয়ে ঘরের সব কিছুতে স্প্রে করবেন।
পানি টেস্ট করিয়ে নিবেন। ব্যাক্টেরিয়া এর পরিমাণ কিরূপ কিংবা আয়রণের পরিমাণ। এজন্য পানির PH টেস্ট করা অত্যন্ত প্রয়োজন। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী পানি বিশুদ্ধ করণ করবেন।
এত কথার এক কথা হল খরচ কমানো এবং লভ্যাংশ বাড়ানো।
সোনালী মুরগীতে ভ্যাকসিনেশন
৫ম দিন রাণীক্ষেত (ক্লোন)
১৪ তম দিন গামবোরো ইন্টারমেডিয়েট
২০ বা ২২ তম দিন গামবোরো ইন্টারমেডিয়েট+
২৮ তম দিন (রাণীক্ষেত+ব্রঙ্কাইটিস)
৪০ বা ৪২ তম দিন রাণীক্ষেত (ক্লোন)
মুরগীর পরিমাণের অবশ্যই ১০% অধিক ভ্যাক্সিনের ডোজ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
৩৫ দিন বয়সে অবশ্যই কৃমিনাশক ব্যবহার করবেন। এবং এর পর অবশ্য ভিটামিন বি-১ বিহীন লিভার টনিক এবং ভিটামিন-সি ব্যবহার করুন।
যদি মুরগী কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে ভ্যাকসিন কাজ করবে না। অথবা মুরগীতে সালমোনেলা, ই. কোলাই কিংবা মাইকোপ্লাজমা দ্বার আক্রান্ত হলে কোন ঔষধ কাজে আসবে না।
উল্লেখ্য যে, রোগের অবস্থা বুঝে ভ্যাক্সিন দিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৭ফেব্রু২০২০