সৌদি খেজুর চাষে সফল হচ্ছেন চাষিরা। শুধু সৌদি খেজুরই নয় এর পাশাপাশি বিভিন্ন ফল চাষ করে সাবলম্বী হচ্ছেন।
খুলনার আকরাম গাজী। তিনি খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার গাড়াখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শুরুতে তার বাড়ির আঙ্গিনার প্রায় এক একর জমিতে শুরু করেন কৃষি কাজ। পরবর্তীতে সৌদি আরবে উৎপাদিত খেঁজুর তার নিজের নার্সারিতে উৎপাদন করে সফলতা পান তিনি।
তিনি ২০০৬ সালে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চাকরির সময় হাসপাতালের ছাদে ফেলে দেওয়া খেজুরের বিচি থেকে চারা উৎপাদন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে চাকরি ছেড়ে ছাঁদে বেড়ে ওঠা খেজুরের চারা নিয়ে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় রোপন করেন। শুরু করেন খেঁজুর গাছের চারা যত্ন নেওয়ার কাজ। এ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকটা সফল হতে শুরু করেন।
আকরাম গাজী সৌদি খেজুর গাছ পরিচর্যার পাশাপাশি নার্সারিতে শুরু করেন ড্রাগন ফল, চুই-ঝাল, ভিয়েতনামী নারকেল, পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত তিন, জয়তুন ফল, থাই ছফেদা, বিভিন্ন জাতের আম, কমলা, লেবু ও চন্দনসহ প্রায় ৬০ রকম ফলজ ও ঔষধি গাছের চাষ। সৌদি খেজুরের মধ্যে তার নার্সারিতে উল্লেখযোগ্য জাত হলো আর্যুয়া, মেজুইন, মরিয়ম, আনবারা।
তার এই নার্সারি খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। তাকে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা এনে দিয়েছে তার এ নার্সারি। বর্তমানে এখান থেকে বছরে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ যদি প্রত্যেকে ১০টি করে ফলজ গাছের চারা রোপন করে তাহলে বাংলাদেশে ফলের ঘাটতি আর থাকবে না বলে জানান আকরাম গাজী।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮জানু২০২০