হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান গরু চেনার উপায়

1380

হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান গরু চেনার উপায় আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে গরু পালন একটি লাভজনক পেশা। গরু পালন করে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে উন্নত জাতের গরু পালনের বিকল্প নেই। আসুন জেনে নেই হলিস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরু চেনার উপায় সম্পর্কে-

হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান গরু চেনার উপায়ঃ
বকনা বাছুরের ক্ষেত্রেঃ

গায়ের রং হলিস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরুর মত কিনা, বয়স অনুযায়ী এর সঠিক বৃদ্ধি হয়েছে কিনা, এর গায়ের পশম গুলো উজ্জ্বল আর চামড়া পাতলা, জিভ সাদা কিনা, অসুস্থ গরুর চোখের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, চোখ হতে হবে উজ্জল, সুস্থ বাছুর চঞ্চল আর ছুটাছুটি করবে, মাথা ছোট-ঘাড় লম্বা থাকবে। অসুস্থ বাছুর বেশীর ভাগ সময়ই বসে থাকবে আর গায়ের পশম গুলো খাড়া হয়ে থাকবে এবং খেতে চাইবেনা। ভাল জাতের বাছুর কেনার সময় এর মা কতটুকু দুধ দিত যা জানতে পারলে ভাল।

গাভী গরুর ক্ষেত্রেঃ

গায়ের রং হলিস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরুর মত কিনা, সকালে-বিকালে মিলে কতটুকু দুধ পাওয়া যায়, ভাল জাতের সদ্য প্রথম বিয়ানের গাই গরুর ২ দাত মাত্রই ওঠে থাকবে , মাথা ছোট, ঘাড় লম্বা, চোখ উজ্জল, শরীরের পিছনের অংশ যথেষ্ট ভারী আর সামনের দিক সরু লম্বাটে হবে। গরু হবে অনেক উঁচু লম্বা, জিভ সাদা।বেশী দুধ পেতে হলে ২ বিয়ানের গরু কেনাই ভাল। প্রথম বিয়ানে ৪ দাঁত হলে বুঝতে হবে গরুর প্রথম বীজ দেরি করে ধরেছে আর বয়স্ক কিছুটা। গরুর দাঁত আর শিং দেখেই একমাত্র বোঝা যাবে এর বয়স কত। ভাল দুধের গরুর ওলান থেকে পেট পর্যন্ত যে রগ গুলো দেখা যায় তা বেশ স্পষ্ট হয়ে মোটা আকৃতির থাকবে।

গাভীন গরুর ক্ষেত্রেঃ

গায়ের রং হলিস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরুর মত কিনা, মাথা ছোট, ঘাড় লম্বা, শরীরের পিছনের অংশ যথেষ্ট ভারী আর সামনের দিক সরু লম্বাটে হবে। গরু হবে অনেক উচা লম্বা, জিভ সাদা, চোখ উজ্জল। প্রথম বিয়ানের ৫-৬ মাসের গাভীন গরুর কোন দাঁত উঠবেনা আর ৯-১০ মাসের গাভীন গরুর ২ দাত হবে।

গরুর ওলানের আকার বড় এবং নরম ঢিলেঢালা হবে। অনেক সময় বড় ওলান হলেই যে গরু দুধ বেশী দেবে, এই ধারনা করে গরু বাচ্চা দেবার কিছুদিন আগেই আমরা বেশী দাম দিয়ে কিনে ফেলি। ওলান বড় হলেই যে দুধ বেশী দেবে, প্রকৃতপক্ষে এই ধারনা ভুল।

এছাড়া গরু কেনার সময় একে হাঁটিয়ে দেখতে হবে, পায়ে কোন সমস্যা আছে কিনা। অসুস্থ গরু বেশীরভাগ সময় বসে থাকবে আর কিছুক্ষন দাঁড় করিয়ে রাখার পর আবার বসে পড়বে, খেতে চাইবেনা। দুই খুর ভাল করে দেখতে হবে, কোনভাবে রোগ আক্রান্ত হয়েছে কিনা। কিছু গরুর দুই খুরের মাঝে কিছু মাংস বাড়তি থাকে এমন হলে এই গরু গুলো খুরার এক জাতীয় রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১০সেপ্টেম্বর ২০২১