হলুদ চাদরে ঢাকা পড়েছে ফসলের মাঠ

118

নীল আকাশ রোদেলা বিকালে যে দিকে চোখ যায় শুধুই হলুদে রঙের চাদর। সবুজের বুক চিরে হলুদে ফুলের অপরূপ দৃশ্য দর্শনার্থীদের মন ছুঁয়ে যায়। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ১ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিজুড়ে এই মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে। কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৪৩০ জন কৃষক সরিষা চাষ করে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন।

জানা গেছে, এবারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ৩ হাজার ৪৩০ জন কৃষক তাদের জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। ১ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা ফলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন। সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষিরা মধু সংগ্রহের জন্য কিছু জায়গায় বসেছে। মৌমাছি মধু সংগ্রহ করায় আর্থিকভাবে লাভবান হবে মৌয়ালিরা। অপরদিকে পরাগায়ন ঘটায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।

ভোগডাঙ্গা টেংরার ভিটা এলাকার কৃষক ফকরুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারি প্রণোদনায় বিঘাপ্রতি ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিওপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পেয়েছি। সরকারি উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আমরা একাধিক কৃষক এবারে এই এলাকায় সরিষা চাষ করেছি। আমরা সবাই ভালো ফলনের আশা করছি। কৃষক আজমল হোসেন বলেন, সরিষায় ফুল এসেছে। মাঠের যেদিকে চোখ যায় সরিষার হলুদে ফুল চোখে পড়ে। তাই প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী সরিষা ক্ষেতে এসে এই সরিষা ফুলের মনোরম দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করে। গত মঙ্গলবার টেংরার ভিটা এলাকায় সরিষা ক্ষেত পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. নাহিদা আফরিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার দিপু রায়, উপসহকারী কৃষি অফিসার নকুল চন্দ্র সেন, এওপিপিও খন্দকার মেহেদী হাসান।

পরিদর্শনকালে কৃষি অফিসার মোছা. নাহিদা আফরিন বলেন, সরকারিভাবে আমরা সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৪৩০ জন কৃষককে প্রণোদনা দিয়েছি। সদর উপজেলার ১ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে এবারে সরিষা চাষ করা হচ্ছে, যা গত বারের চেয়ে দ্বিগুণেরও অনেক বেশি। কিছু জায়গায় মৌয়ালিরা মধু সংগ্রহ করছে। সব ব্লকে মধু সংগ্রহ করতে পারলে মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটত। এতে করে কৃষকের ফলন আরও বৃদ্ধি পেত। আশা করছি, এবারে সরিষার ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।