হাঁস পালন করে যে লাভবান হওয়া যায় এটা অনেকেই মনে করে না। কাউখালী উপজেলার সরোয়ার হোসেন হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। তার এ সফলতা দেখে এখন এলাকার অনেকেই হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হওয়া পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।
বিদেশ নয়, বাড়িতে বসেই অর্থ আয় করা সম্ভব। হাঁসের খামার করে প্রবাস জীবনের ইতি টেনেছেন উপজেলার গোপালপুরের সরোয়ার হোসেন। সাত বছর দুবাই কাটিয়ে একবছর আগে দেশে ফিরেই শুরু করেন খামারে হাঁস পালন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে আড়াইশ’ ইতালিয়ান জাতের হাঁস। গোপালপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুচ আলী মিয়ার ছেলে সরোয়ার হোসেন।
২০০৯ সালে দুবাই চলে যান তিনি। ২০১৬ সালে দেশে ফেরেন। সরোয়ার জানান, দুবাই থাকার সময় থেকেই মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটে হাঁস পালনের বিষয়ে জানতে পারেন। বাড়ি ফিরেই হাঁসের বাচ্চা পেতে খুলনায় গিয়ে বুকিং দেন। তৈরি করেন হাঁস পালনের উপযোগী ঘর। ওই বছর মার্চ মাসে একদিন বয়সের তিনশ’ বাচ্চা তোলেন খামারে।
সাড়ে চার মাস খামারের ঘরেই হাঁস পালন করেন। প্রথম দু্ই মাস ব্রয়লার মুরগির তৈরি খাবার, দুই মাস লেয়ার মুরগির খাবার, এছাড়া কিছুদিন ধান বা গম খাওয়াতে হয়। এরপর ওই হাঁস জমিতে নিয়ে ছেড়ে দিলে এরাই ওদের আহার খুঁজে বের করে। এভাবে চলে আট মাস। প্রথমে হাঁসগুলোকে একটি জমির মধ্যে ছেড়ে দেয়া হয় খাওয়ানোর জন্য।
এরপর আবার বাড়ি নিয়ে যেতে হয়। পরদিন আর কাউকে সঙ্গে যেতে হয় না। সাড়ে চার মাস বয়স হলে ওই হাঁস ডিম দিতে শুরু করে। চার-পাঁচ মাস ডিম দেয়ার পর পালক ঝরে। সে সময় ১৫-২০ দিন ডিম দেয়া বন্ধ থাকে। হাঁসের খামার করে তিনি সফল এবং বর্তমানে সচ্ছল জীবনযাপন করছেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ