হাঁসের বটুলিজম রোগ হলে যা করবেন

1937

Khaki-Campbell-Ducks-for-Sale-by-Mail-Order1
হাঁসের বটুলিজম রোগ হলে করণীয় কি তা আমরা অনেকেই জানি না। হাঁস পালনে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল হাঁসের রোগ। টুলিজম টক্সিন বা জীবানু আহার করার মাধ্যমে হাঁস এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। চলুন হাঁসের বটুলিজম রোগ হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেই-

হাঁসের বটুলিজম রোগ হলে করণীয়ঃ
হাঁসের বটুলিজম রোগের কারণঃ

Botulinum clostridium জীবানু মাটি বা পানিতে এক ধরনের (toxin) বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে থাকে যা খারাপ পানি বা খাদ্যের সাথে হাঁসের খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যা হাঁসের Peripheral Nervous System কে আক্রান্ত করে।এই টক্সিন পঁচা বা বাসি খাবারেও থাকে।

হাঁসের বটুলিজম রোগের লক্ষণসমূহঃ

১। দুই পা, ঘাড় এরং শরীরের বিভিন্ন অংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। এই কারনে হাঁস হাটতে পারে না। ঘাড় বা গলা সোজা করে দাড়াতে পারে না এবং পানিতে ভেসে থাকে ডুব দিতে পারে না। চোখের পাতা খুলে রাখতে পারে না। শুধুমাত্র ডানা ঝাপটাতে পারে। অতি আক্রান্ত হাঁসের ডানাসহ প্যারালাইজড হয়ে যায়।

২। কখনো কখনো পাতলা পায়খানা করে।

৩। হাঁস দূর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

৪। পুরুষাঙ্গ বাহিরে বেরিয়ে আসে এবং ছোট হয়ে যায়।

৫। খাবার বা পানি খেতে চায় না।

হাঁস বটুলিজমে আক্রান্ত হলে করণীয়ঃ

১। প্রথমেই আক্রান্ত হাঁসকে আলাদা করতে হবে।

২। আক্রান্ত হাঁসকে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাতে হবে। এতে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যাবে। প্রয়োজনে লেক্সেটিভ দেওয়া যাবে পানির সাথে।

৩। যেহেতু রোগটি ব্যাকটেরিয়া জনিত সেহেতু সময় অপচয় না করে যত দ্রুত সম্ভব একটি ভালো মানের এন্টিবায়োটিক চিকিংসা হিসেবে শুরু করুন। আক্রান্ত হাঁসের জন্য চিকিৎসা মাত্রায় এবং ভালো হাঁসের জন্য প্রতিরোধক মাত্রায় ৫-৭ দিন।

৪। প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে বটুলিজম এন্টি টক্সিন ০.৫-১ মিঃ লিঃ
(Botulism Antitoxin 0.5-1 ml) ইন্ট্রাপেরিটোনিয়েল (Intra Peritoneal) ইনজেক্ট করে দিতে হবে।

৫। প্রতি ২ থেকে ৪ ঘন্টা পরপর পরিষ্কার পানি সরবরাহ করতে হবে।

৬। হাঁসের বাসস্থান ভালো মানের জীবানুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিন বা স্প্রে করে দিতে হবে পরপর তিন দিন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২ফেব্রু২০২০