হাঁসের বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকার

6946

techtunes_a098e73576222a2aaa975e356404062c
বসতবাড়িতে পালিত হাঁস বিভিন্ন রকম রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ হচ্ছে- রানীক্ষেত, বসন্ত, গামবোরো, মারেক্স, পক্ষাঘাত, রোগ ইত্যাদি। ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ কলেরা, টাইফয়েড, সাদা উদরাময়, এভিয়ান সালমোনেলোসিস। আর ছত্রাকজনিত রোগ গুলো হলো ব্রুডার নিউমোনিয়া, ফেভাস, থ্রাস, মাইকোটিক্সিকোসিস। এছাড়া পরজীবী ঘটিত রোগ হচ্ছে মাইকোপ্লাজমোসিস, ককসিডিওসিস, কৃমি, উকুন ইত্যাদি। সবগুলো রোগকে আধুনিক কৃষি খামার সিরিজ করে প্রকাশ করবে। সে লক্ষ্যে আজকের প্রতিবেদনে থাকছে হাঁসের গুরুত্বপূর্ণ রোগ রানীক্ষেত এর ব্যবস্থাপনা।

রানীক্ষেত রোগ
এই রোগটি প্রথমে ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেল নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়। পরে ভারতের রানীক্ষেত নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়।

কারণ
নিউক্যাসেল ডিজিজ ভাইরাস সংক্রমণে হয়।

লক্ষণ
আক্রান্ত মুরগি ও বাচ্চা ঘরের কোণে বা নিরিবিলি স্থানে ঝিমায়।

সাদা চুনের মত মলত্যাগ করে। তবে মল সবুজ, হলুদ ও সবুজ হলুদের মিশ্রণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট হয়। মুরগি ‘হা’ করে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করে। ঘড় ঘড় শব্দ করে।

ঘাড় বাঁকা হয় ও মাথা ঘুরাতে থাকে।

দুর্গন্ধযুক্ত মল মুরগির পিছনে পালকে লেগে থাকে।

নাক ও মুখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হয়।

চোখ ফুলে ওঠে, কানের লতি ও মাথার ঝুঁটি কালচে বর্ণ ধারণ করে।

ডিমপাড়া মুরগি ডিম পাড়া বন্ধ করে।

পাখা বা ডানা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে।

মুরগি হঠাৎ করে মারা যায়।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার
জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ জীবাণু প্রবেশ বা সংস্পর্শ প্রতিরোধ করা।

সুস্থ মুরগি থেকে অসুস্থ মুরগি পৃথক করা।

মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলা।

টিকা দেয়া ৭ দিন ও ২১ দিন বয়সের বাচ্চা মুরগিতে বিসিআরডিভি প্রতি চোখে ১ ফোঁটা করে দিতে হয়। দুই মাসের বেশি বয়সের মুরগির রানের মাংসে আরডিভি ১ সিসি করে ইনজেকশন দিতে হয়।

আক্রান্ত হওয়ার পর কোন চিকিৎসা বা প্রতিকার নেই।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫মার্চ২০