হাঁস পালন বিষয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর আমাদের দেশের সব হাঁস পালনকারীদেরই জেনে রাখা দরকার। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই হাঁস পালন করা হয়ে থাকে। হাঁস আমাদের মাংস দেওয়ার পাশাপাশি ডিমের চাহিদা পূরণ করে থাকে। হাঁসের খামার গড়ে তোলার মাধ্যমে বেকার তরুণরা সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারেন। আজ চলুন জেনে নেই হাঁস পালন বিষয়ক সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে-
হাঁস পালন বিষয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ
হাঁস পালন করার সময় আমাদের মনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। নিচে এমন কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল-
১। হাঁস সাধারণত কত দিন বয়স হলে ডিম দিতে শুরু করে?
উত্তরঃ হাঁসের বয়স সাধারণত ১৮ থেকে ২০ সপ্তাহ হলেই হাঁস ডিম দিতে শুরু করে। আর হাঁস ২৪ থেকে ২৫ সপ্তাহের পর থেকেই নিয়মিত ডিম দিতে শুরু করে। তবে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, হাঁসের সঠিক যত্ন নেওয়া যেমন- নিয়মিত হাঁসকে সুষম খাদ্য প্রদান করা, হাঁসের থাকার জায়গা নির্বাচন করা এবং হাঁসের থাকার পরিবেশের উপর হাঁসের ডিম দেওয়ার সময় ও পরিমাণ কম-বেশি হয়ে থাকে।
২। হাঁস টানা কত দিন ডিম দিয়ে থাকে?
উত্তরঃ আমাদের দেশের হাঁসগুলো সাধারণত ৩ বছর টানা ডিম দিয়ে থাকে। তবে ৮০ থেকে ৯০ সপ্তাহ পর্যন্ত যে হারে ডিম দেয় এর পরে সেই হারে ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সেজন্য ডিম উৎপাদনকারী হাঁসগুলোর ডিম দেওয়া শেষ হয়ে গেলে খামার থেকে সেই হাঁসগুলোকে সরিয়ে ফেলতে হবে কিংবা বিক্রি করে দিতে হবে।
আর তা না করা হলে হাঁসের খামারে লোকসান হতে পারে। এছাড়াও হাঁস ডিম দেওয়ার সময় মাঝে মধ্যে ডিম দেওয়া বন্ধ করে আবার ডিম দেওয়া শুরু করতে পারে। এই সময় হাঁসকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে।
৩। হাঁসকে কোন কোন রোগের টিকা বা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয়?
উত্তরঃ হাঁস পালনের সময় হাঁসের খামারে সঠিকভাবে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা গেলে হাঁসকে তেমন কোন রোগের জন্য টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। তবে আমাদের দেশে হাঁস পালনের সময় সাধারণত ৩টি রোগের টিকা প্রদান করতে হয়। এই ৩টি রোগ হল- ডাক কলেরা, ডাক প্লেগ, এবং বার্ড ফ্লু।
এছাড়াও আরও অঞ্চলভেদে আরও বেশ কয়েকটি রোগের টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। কোন কোন খামারে হাঁসের জন্য বসন্ত রোগের টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। তাই রোগের ধরন অনুযায়ী টিকা প্রয়োগেও কিছু কম-বেশি হতে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৫এপ্রিল২০