কলেরা হাঁস-মুরগির একটি মারাত্মক রোগ। এরোগে আক্রান্ত হাঁস-মুরগির বাঁচার সম্ভবনা খুবই কম। আমাদের দেশে প্রায় খামারগুলোতে এ রোগ হতে দেখা যায় । যে কোন সময়ে যে কোন বয়সে হাঁস-মুরগির এ রোগ হতে পারে । আক্রান্ত পাখি, দূষিত খাদ্য, পানি এবং খামারে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় । ভেজা আবহাওয়া এবং স্যাঁতস্যাঁতে লিটার এ রোগ ছড়াতে সাহায্য করে ।
কলেরা রোগের লক্ষণ :
১. হঠাৎ অনেক সুস্থ হাঁস-মুরগি একসাথে মারা যেতে পারে।
২. কলেরা রোগে আক্রন্ত হাঁস-মুরগি সবুজ বা হলুদ বর্ণের পাতলা পায়খানা করে।
৩. কলেরা রোগে আক্রন্ত হাঁস-মুরগির গায়ে জ্বর হয়, ঝিমায় এবং চলাফেরার ক্ষমতা হারায়।
৪. কলেরা রোগে আক্রন্ত হাঁস-মুরগির ক্ষুধা মন্দা হয়, কিন্তু পানি বেশি খায়।
৫. কলেরা রোগে আক্রন্ত হাঁস-মুরগির ঝাঁকের অধিকাংশ ২-৩ দিনের মধ্যেই মারা যেতে পারে।
৬. কলেরা রোগে আক্রন্ত হাঁস-মুরগির চোখ – মুখ ফুলে যায়।
৭. কলেরা রোগে আক্রন্ত হাঁস-মুরগির ঝুঁটি, কানের লতি নীল বা কালচে বর্ণের হয়ে যায়।
৮. নাক, মুখ দিয়ে লালা ঝরে এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
১০. ডিম উৎপাদন কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ:
এ রোগে প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পারে হাঁস-মুরগি সুস্থ রাখতে। এজন্য হাঁস-মুরগির খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। রোগাক্রান্ত হাঁস-মুরগি খামার থেকে আলাদা রাখতে হবে। হাঁস-মুরগির খাবারের পাত্র খাওয়ার পরপরই পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এক কথায় বলা যায় যে, কলেরা রোগ যাতে না হয় সে জন্য সাস্থসন্মত বিধি ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে । এছাড়া খামারের প্রত্যেক হাঁস-মুরগির কলেরা রোগের টিকা দিতে হবে।
কলেরার টিকা ব্যবহার পদ্ধতি:
১০০সিসি বোতলে এ টিকা পাওয়া যায় । প্রতিটি হাঁস– মুরগিকে ১ সিসি করে ইনজেকশন হিসেবে রানের মাংসে এ টিকা দিতে হয় । মুরগির বাচ্চাকে ১০ সপ্তাহ এবং হাঁসের বাচ্চাকে ২ সপ্তাহ বয়সে এ টিকা দিলে ৪-৫ মাস আর কলেরা রোগের ভয় থাকে না । তাই ৪-৫ মাস পরপর এ টিকা দিলে কলেরা রোগ হওয়ার আশংকা থাকে না ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০২সেপ্টেম্বর২০