হাজারো ডেইরি খামারীর স্বপ্নের মৃত্যুর কারণ

528

ডেইরি খামার করে সফলতার মুখ দেখা খামারির সংখ্যা যেমন অসংখ্য তেমনি খামার করে ব্যর্থ হয়েছেন কিংবা লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে গাভী বিক্রি করে অন্য ব্যবসায় ঝুকেছেন এমন খামারির সংখ্যাও কিন্তু প্রচুর । সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ব্যর্থ হওয়া, ছোট ভুলে বড় ক্ষতি কিংবা ন্যায্য বাজার দর না পেয়ে খামার ব্যবসা গুটিয়ে ফেলা মানুষ গুলি কিন্তু এখনো বিভিন্ন সাফল্যের গল্প শুনে নিজের ব্যর্থতার হিসেব নিকেশ করেন ।

বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডেইরি খামারিদের সফলতা দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেকেই শুরু করেন ডেইরি ফার্ম। প্রতি বৎসর উন্নত জাতের গাভী পালন করে লাভের আশায় শুরু হয় ছোট-বড় শতশত খামার।

তবে খামার শুরু করার পূর্বে অনেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমলে নেন না। আর তা হলো, দুধ সংগ্রহকারী কোনো নির্ভরযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান তার এলাকায় আছে কিনা? যে অঞ্চলে দুধ সংগ্রহকারী কোনো নির্ভরযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকে না, সে অঞ্চলে কম্পিটিটিভ মার্কেটও থাকে না। ফলে আঞ্চলিক দুধের চাহিদার উপর তাকে নির্ভর করতে হয়। আঞ্চলিক মার্কেটে দুধের চাহিদা কম থাকায় আনেক কম মূল্যে দুধ বিক্রি করতে হয় এবং অধিক উৎপাদন করলে বাজারজাতকরণে বেগ পেতে হয়। সামর্থ থাকা স্বত্বেও তখন ফার্ম বড় করা যায়না বা বড় করলে লসে পড়তে হয়।

বিদেশ থেকে গুড়ো দুধ আমদানী হলো দেশের ডেইরি শিল্পের ব্যর্থতার মূল অন্তরায় । পণ্যের বাজারজাতকরণে সহজীকরণ এবং বিদেশ থেকে গুড়ো দুধ আমদানি বন্ধ করার মাধ্যমে দেশের ডেইরি শিল্পকে বাঁচানোর অন্যতম পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

ধন্যবাদান্তে
কলাদহ এগ্রো ফার্ম লিঃ এর পক্ষ থেকে আমি বাহারুল ইসলাম
খামারের ঠিকানা-
গ্রামঃ মালাকুচা, উপজেলাঃ শ্রীবরদী, জেলাঃ শেরপুর।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২১অক্টোবর২০