হাস-মুরগিরও কী করোনা আক্রান্ত হয়?

762

IMG_20032020_130240_1280_x_720_pixel
হাঁস-মুরগিও করোনা আক্রান্ত হয়, তবে মানুষে ছড়ায় না

শুধু মানুষেই নয় হাঁস-মুরগি, পাখি, মাছ ইত্যাদিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তবে পশুপাখি ও মাছ যে করোনাভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয় তার ধরণ আলাদা। সেগুলো জুনোটিক নয় অর্থাৎ আক্রান্ত পশুপাখি ও মাছের করোনাভাইরাস দিয়ে মানুষ সংক্রমিত হয় না। হাঁস-মুরগির (পোল্ট্রি) করোনাভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, কারণ এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে সহজলভ্য।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাসকে (আইবিভি) পোল্ট্রির করোনাভাইরাস বলা হয়

শুধু মানুষেই নয় হাঁস-মুরগি, পাখি, মাছ ইত্যাদিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তবে পশুপাখি ও মাছ যে করোনাভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয় তার ধরণ আলাদা। সেগুলো জুনোটিক নয় অর্থাৎ আক্রান্ত পশুপাখি ও মাছের করোনাভাইরাস দিয়ে মানুষ সংক্রমিত হয় না। হাঁস-মুরগির (পোল্ট্রি) করোনাভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, কারণ এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে সহজলভ্য।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাসকে (আইবিভি) পোল্ট্রির করোনাভাইরাস বলা হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে ড. আলিম বলেন, ‘পোল্ট্রির করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছি। পোল্ট্রির করোনাভাইরাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১ থেকে ৩ মিনিটে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। আমাদের দেশে যে তাপমাত্রায় রান্না করে খাওয়া হয়, তাতে সব ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পোল্ট্রির মাংস অথবা আক্রান্ত মাছ পুরোপুরি সিদ্ধ করলে সব ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে দেশের মানুষ নির্ভয়ে পোল্ট্রির মাংস ও মাছ খেতে পারেন।’

করোনাভাইরাসের যে সাতটি সেরোটাইপ মানুষে সংক্রমণ করতে পারে সেগুলোও ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১ থেকে ৩ মিনিটে ধ্বংস হয়ে যায়। ৭০ ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রায় ভাইরাসগুলো ধ্বংস হয় না বলে জানান তিনি।

মানুষের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাবান ও বিভিন্ন স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ৩০ সেকেন্ড ধরে পরিস্কার করলে করোনাভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। তবে যেসব সাবান বা স্যানিটাইজারের পিএইচের মান ৬ থেকে ১১ সেগুলো এই ভাইরাসের বিরম্নদ্ধে ভালো কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাদের সাবান বা স্যানিটাইজার কেনার সামর্থ্য নেই তারা হাত পরিষ্কার করার জন্য ছাই ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে হাসপাতালের সুবিধা নেই সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে কফ-থুতু সেখানে-সেখানে না ফেলে মাটির তৈরি পাত্রের মাঝে কিছু ছাই দিয়ে, সেই ছাইয়ের মধ্যে কফ-থুতু ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এতে ওই ছাইয়ের পিএইচে করোনাভাইরাস ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

নিয়মিত ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন, মোবাইল ফোন, চশমা, ঘড়ি, টেবিল, চেয়ার, কম্পিউটারের কিবোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমেও এই ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করতে পারে। ভাইরাসটির বিস্তার প্রতিরোধে ব্যবহার্য জিনিসপত্র ৭০ ভাগ ইথানল দিয়ে নিয়মিত পরিস্কার করার পরামর্শ দেন তিনি।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২১মার্চ২০