হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে খামারে ভেষজ উপাদান ব্যবহার করবেন যেভাবে

362

হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে এমন তিনটি ভেষজ উপাদান হলঃ
১. হলুদ গুড়া
২. শুকনো আদার গুড়া
৩. দারুচিনি গুড়া

১. হলুদ গুড়াঃ
হলুদের নানাবিধ ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন। এটি একাধারে এন্টিসেপ্টিক, এন্টিঅক্সিডেন্ট, লিভার টনিক ও এন্টিকোয়াগুলেন্ট।
এর এন্টিকোয়াগুলেন্ট বৈশিষ্ঠের জন্য এটি রক্তের প্লেটলেটস কণিকাগুলোকে জমাট বাধঁতে বাধা দেয়। তাছাড়া এটি একটি প্রাকৃতিক ব্লাড থিনার (রক্তের ঘনত্ব হ্রাসকারক)।
যা রক্তচাপ হ্রাস করে হিটস্ট্রেস ও হিটস্ট্রেসে মুত্যুর ঝুকি কমায়।

ডোজঃ ০.৫০-১.০০ গ্রাম/কেজি খাদ্য

২. শুকনো আদার গুড়াঃ
ব্রয়লারে আদার রসের ব্যবহার অনেকেই জানেন। সাধারন সর্দি-কাশিতে অনেকেই আদার রস ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন। সর্দি-কাশির পাশাপাশি আদার গুড়া ব্রয়লার মুরগীতে হিটস্ট্রেসের ঝুঁকি কমায়। আদার একটি উপাদান হলো স্যালিসাইলিক এসিড। এই স্যালিসাইলিক এসিড থেকেই এসিটাইল স্যালিসাইলিক এসিড তৈরী হয় যার এন্টিইনফ্লামেটরি ও এন্টিপাইরেটিক বৈশিষ্ঠ্য বিদ্যমান।

শুকনো আদার গুড়া মুরগীর শরীরের অাভ্যন্তরীন তাপ হ্রাস করে, রক্তের ঘনত্ব হ্রাস করার মাধ্যমে রক্তচাপ হ্রাস করে, রক্ত জমাট বাধঁতে বাঁধা দেয় এবং হিটস্ট্রস ও হিটস্ট্রেসে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

ডোজঃ ০.৫০-১.০০ গ্রাম/কেজি খাদ্য

৩. দারুচিনি গুড়াঃ
হলুদ ও আদার পাশাপাশি দারুচিনিও মুরগীতে হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। সাধারনত দারুচিনিতে কোওমারিন নামে একটি রাসায়নিক উপাদান থাকে যা প্রাকৃতিক এন্টিকোয়াগুলেন্ট (রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধাকারক)। এটির এন্টিইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ঠ্য বিদ্যমান এবং রক্ত চাপ হ্রাস করে হিটস্ট্রস ও হিটস্ট্রেসে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

ডোজঃ ০.৫০-১.০০ গ্রাম/কেজি খাদ্য

ব্যবহারবিধিঃ
হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে উপরোক্ত তিনটি ভেষজ উপাদান একত্রে খাদ্যে ব্যবহার করতে হবে। ব্রয়লার মুরগীর ক্ষেত্রে ২য় সপ্তাহ থেকে বিক্রয়ের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন মুরগীর খাদ্যের সাথে উপোরোক্ত ভেষজ উপাদানগুলো সঠিক মাত্রায় যোগ করতে হবে।

প্রতি বস্তায় ৫০ গ্রাম হলুদের গুঁড়া, ৫০ গ্রাম আদার গুঁড়া,৫০ গ্রাম দারুচিনির গুঁড়া মিক্স করে ভাল করে বস্তার খাদ্যের সাথে মিক্স করে নিতে পারেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০১সেপ্টেম্বর২০