দিনাজপুরের হিলিতে শুরু হয়েছে রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই। মাঠে মাঠে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা। শষ্যের ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুর। জেলার দক্ষিণে হিলি হাকিমপুর উপজেলায় ধানের ফলন এবার ভালো হয়েছে। এলাকার কৃষকরা ব্যস্ত এখন মাঠ থেকে ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তুলতে। ঘরে নতুন ধান তুলে তারা আয়োজন করবে নবান্নের। পিঠা-পায়েসের ধুম পড়ে যাবে গ্রামে গ্রামে। তাই ফসল আবাদের কষ্টের কথা ভুলে গিয়ে মনের আনন্দে ধান পেটাতে ও ঝাড়তে ব্যস্ত এখানকার কৃষান-কৃষানিরা।
হিলির বৈগ্রাম গ্রামের কৃষক ইনছান আলী বলেন, আমি ১০ বিঘা ধান আবাদ করেছি। এগুলো আগাম পেকে গেছে। তাই আগাম রবিশস্য আলু আবাদ করব। সেজন্য আমি এবার আগাম ধান কাটতে শুরু করেছি।
এদিকে কৃষক মতিন জানান, আমরা কষ্ট করে আবাদ করি, কিন্তু ফসল আবাদ করে হিসেব মেলাতে পারি না। আবাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিঘাপ্রতি ধানের যে খরচ হয়, পরে সে ধান বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে আর কাক্সিক্ষত দাম পাই না। তবে এবছর চিত্রটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আমরা এখনও ধান বিক্রি করতে যাইনি। বিক্রি করতে গেলে বোঝা যাবে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, এবারে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকেরা দামও ভালো পাবে বলে আশা করছি। এ বছর হাকিমপুর উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আট হাজার ১১৫ হেক্টর জমি আর অর্জন হয়েছে আট হাজার ১১৭ হেক্টর জমি। দুই হেক্টর জমি বেশি আবাদ হয়েছে। এদিকে প্রতি বিঘায় জমিতে কৃষকরা ধান পাচ্ছে ১৯ থেকে ২০ মণ করে।