আলুর অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আলু আমদানির অনুমতি দেয়ার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে আলুর দাম পাইকারিতে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে বলছেন আমদানিকারকরা।
আমদানিকারক হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে আলুর দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন সরকার সিদ্ধান্ত নেয় আলু আমদানির। সেই লক্ষ্যে গত ৩০ অক্টোবর ভারত থেকে আলু আমদানি অনুমতি দেয় সরকার। অনুমতি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয় ভারত থেকে আলু আমদানি। এক দিনে আলু আমদানি হয় সাত ট্রাকে ১৭৮ মেট্রিক টন আলু। তবে আলু আমদানির পরপরই হিলি স্থলবন্দরের স্থানীয় বাজারে কমতে থাকে দাম। তিন দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে ভারতে প্রচুর পরিমাণে এলসি করা রয়েছে, সেগুলো আমদানি হলে দেশের বাজারে আরও দাম কমবে বলে জানান তিনি।
বাজারে কয়েকজন আলু বিক্রেতা বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানির ফলে বাজারে কমেছে দাম। তিন দিনের ব্যবধানে আলুর দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। যে আলু গত বুধবারে বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে, সেই আলু আজকে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে ভারত থেকে আমদানি হলে দাম আরও কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
হিলি পানামা পোর্ট লিমিটেড জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো দেশে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। দেশের বাজারে যে আলুর দাম উর্ধ্বগতি তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই আমদানি হচ্ছে। ভারত থেকে আলু আমদানি অব্যহƒত রয়েছে, এটি কাঁচামাল হওয়ায় দ্রুত ছাড়করণ করা হয়ে থাকে।
হিলি উদ্ভিদ সংঘ নিরোধের উপ-সহকারী ইউসুব আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল শনিবার বেলা ১টা পর্যন্ত ৪৩ জন প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু ইমপোর্ট পারমিট পেয়েছেন।