আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এখানকার পাইকারি বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৩০ টাকা। মূলত সরবরাহ ক্রমে বাড়তে থাকায় পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কমে এসেছে।
গতকাল হিলির পাইকারি বাজার ঘুরে দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ৩০ টাকা। আর চায়না পেঁয়াজ আগের মতোই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাতা পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফুল মল্লিক বলেন, পেঁয়াজ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। প্রতিদিনের রান্নায় দরকার হয়। দাম বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল যে পেঁয়াজ আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। বাজারে দেশে উৎপাদিত নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ আসার ফলে দাম কিছুটা কমে এসেছে। স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ক্রেতাদের মধ্যেও। আগামী দিনগুলোয় পণ্যটির দাম আরো কমলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।
স্থানীয় পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনিরুল আলম বলেন, কয়েক দিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে পারেননি। এ কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে আবহাওয়া অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসায় সরবরাহ বেড়ে পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন ধরেই বাজারে জোর গুঞ্জন রয়েছে যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নতুন করে শুরু হচ্ছে। তখন দাম আরো কমে যেতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে অনেক চাষী ও ব্যবসায়ী আগাম পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে চাইছেন। এ প্রবণতা বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দামও আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮জানু২০২০