করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে দেশে টানা সাধারণ ছুটি ও ভারতে চলমান লকডাউনের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় দুই মাস বন্ধ ছিল। এ সময় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। মাঝে ঈদে চহিদা বেড়ে যাওয়ায় আরেক দফা দাম বাড়ে পেঁয়াজের। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে হিলি স্থলবন্দরে রেলপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে হিলি স্থলবন্দরে আশাপশের বাজারগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ খানিকটা বেড়েছে।
ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে গেল দুই দিনের ব্যবধানে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা।
হিলি বাজারের আড়ৎ ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ প্রকারভেধে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল দুই দিন আগেও এখানকার বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৪৬ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে একদিনে হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ কমেছে। এবং ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, দুই মাস ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম উর্ধ্বগতি ছিল। কিন্তু পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় আড়তগুলোতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ফলে আমরাও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছি।
হিলি স্থল বন্দরের আমমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, পেঁয়াজের মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২২ থেকে ২৬ টাকা দরে বিক্রি করছি। তিনি আরো জানান, পেঁয়াজ আমদানি শরু হওয়ায় আরো পেঁয়াজের দাম কমবে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
ফার্মসএন্ডফার্মার/০১জুন২০