দূষণের কারণে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশের প্রতি খেয়াল রেখে হাওরের ইকো-ট্যুরিজম বিকাশের কথা থাকলেও, ভ্রমনের নামে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক দূষিত করছে এই জলাধার।
সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পায় সুনামগঞ্জে টাঙ্গুয়ার হাওর। এর অবস্থান জেলার সীমান্তবর্তী তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায়। প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই জলাধারটি মানুষের আকর্ষণ কেড়েছে তার অনন্য জীববৈচিত্রের কারণে। সুউচ্চ মেঘালয় পাহাড়ঘেঁষা দৃষ্টিনন্দন এই জলাভূমিতে রয়েছে শতাধিক প্রজাতির মাছ, পাখি, হিজল, নল-খাগড়া ও বন।
সাধারণ মানুষ জানায়, ১৯৯৯ সালে টাঙ্গুয়ার হাওরকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ চিহ্নিত করা হয়। ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে ‘রামসার সাইট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর বিশেষ ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসা হয় হাওরকে। বর্ষা মৌসুমে হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন আসছে হাজারো পর্যটক। কিন্তু ভ্রমনের সময় পর্যটকরা দূষিত করছে এই জলাধার।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় জানালেন, হাওরের জীববৈচিত্র রক্ষায় এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে রাখার দাবি জানান পরিবেশ আন্দোলন কর্মীরা।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরকে ইকো-ট্যুরিজমের আওতায় নিয়ে এসে সরক্ষণ করার পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।
রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র রক্ষা করে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প বিকাশের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।