আমাদের দেশের একটি পরিচিত শাক পুঁইশাক। শীতকাল ব্যতীত প্রায় সবসময়ই এ শাক পাওয়া যায়। শাক জাতীয় তরকারীর মধ্যে পুঁইশাক হল সবার সেরা। পুঁইশাক একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু শাঁক। আমাদের দেশে প্রায় সব স্থানেই পুঁইশাকের চাষ করা হয়।
পুইশাক চাষে রাসায়নিক সার ব্যবহারে পুইশাকের পাতা আকারে ছোট আর পাতায় সহজেই দাগে ভরে যায়। ফলে খেতে বিষাদ লাগে, সহজে হজম হতে চায় না। আর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো না হলে প্রায়শই গোড়া পঁচে যায়।
পুঁইশাক চাষ করার পদ্ধতি : রাসায়নিক সার ছাড়া পুইশাক চাষে প্রথমেই ভালো পানি নিষ্কাশনের জন্য ছোট একটি ফলের কেরেটে সিমেন্টের বস্তা বিছিয়ে এতে বেলে দোঁয়াশ মাটির সাথে ৫০ ভাগ জ়ৈব সার মিশাতে হবে। এর পর সার মিশানো মাটির ওপর বীজ ছিটিয়ে দিয়ে তার ওপর আবার হালকা করে মাটি দিয়ে পানি দিতে হবে।এতে এক সপ্তাহ পর ছিটানো বীজ থেকে সুস্হ সবল চারাগুলো বের হয়ে আসবে। এর পর পুঁইশাকের চারাগুলো কড়া রোদে রেখে দিতে হবে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির পানির ছোঁয়ায় সুস্হ সবল চারাগুলো বড় হতে থাকবে। কিছু দিন পর দাগবিহীন আর আকাড়ে বড় পাতাগুলো দেখলেই মন ভরে যাবে।
রাসায়নিক সার মুক্ত, দাগবিহীন আর আকাড়ে বড় পাতাগুলো তুলে খেয়ে দেখুন। স্বাদে বেশ লাগবে!
একটি জিনিস খেয়াল রাখবেন, পুঁইশাকের কচি আগাগুলো যদি কিছু দিন পর পর ছেটে দেন তাহলে নতুন কুশিও বের হবে এবং লতাও মোটা হবে।
পোকামাকড় ও রোগদমনঃ
পুঁইশাকে পাতার বিটল বা ফ্লি বিটল ছাড়া আর কোনো পোকা তেমন ক্ষতি করে না। এই পোকা পুঁইশাকের পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে ফেলে। সারকোস্পোরা পাতার দাগ পুঁইশাকের একটি মারাত্মক রোগ। এছাড়াও আরও কয়েকধরনের রোগ পুঁইশাক গাছে দেখা দিতে পারে। ছত্রাকনাশক/ ট্রাইকোর্ডামা পাঊদার স্প্রে করে এসব রোগ নিয়ন্ত্রন করা যায়।
পুঁইশাকের ফলন প্রতি শতকে ২০০ থেকে ২৮০ কেজি এবং হেক্টোর প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টন ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২০এপ্রিল২০