রাজধানী ঢাকার ২০টি স্থানে সরকার নির্ধারিত ১২ টাকা দামে ডিম বিক্রি করার পরিকল্পনা করছেন খামারিরা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
বিপিএ-র সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছি, দু-এক দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দেব। এরমধ্যে আশপাশের জেলা থেকে ডিমের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে ডিম এনে বিক্রি করা হবে।’
তিনি বলেন, আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা পিকআপ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
দু’দিন ধরে বাজারে ডিমের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ১৪৫-১৫০ টাকা ডজন থেকে বেড়ে ব্রয়লার মুরগির ডিম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। যদিও সরকার প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বিপিএ বলছে, বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি লাভ করছে খুচরা বিক্রেতারা। প্রতিটি ডিমে তারা এক থেকে দেড় টাকা লাভ করছে। যে কারণে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম পাচ্ছেন না ভোক্তারা। খুচরা বিক্রেতাদের ওপর চাপ তৈরির জন্যই বিপিএ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা যায়, ছোট ছোট পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় ডিম বিক্রি করা হবে, যেগুলো সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে নিয়ে আসা হবে। প্রতিটি পিকআপে অন্তত ৪০ হাজার করে ডিম থাকবে। খরচ কমানো সম্ভব হলে ১২ টাকার কমেও ডিম বিক্রি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, খামারিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ফরমালি (আনুষ্ঠানিক) আবেদন করলে আমরা তার অনুমোদন দিব।