১২ লাখ টাকায় ‘পালসার বাবু’কে কিনলে মোটরসাইকেল ফ্রি!

350
১২ লাখ টাকার পালসার বাবু!

১২ লাখ টাকার পালসার বাবু!
যশোর থেকে: যশোরের মণিরামপুরে ষাঁড়ের নাম ‘পালসার বাবু’। ষাঁড়টি পুষছেন উপজেলার ইত্যা গ্রামের ক্ষুদ্র (প্রান্তিক) গরু ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া মোল্লা। গত তিন বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন ইয়াহিয়া দম্পতি। ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন ‘পালসার বাবু’। ওই নামেই বাড়ির সবাই ডাকেন তাকে। এবারের কোরবানিতে গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি। ইয়াহিয়া ষাঁড়টির দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা। ক্রেতাকে গরুর সঙ্গে পালসার উপহার দেয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।

এদিকে, গরুর দাম ১২ লাখ টাকা! লোকমুখে এমন কথা শুনে ‘পালসার বাবু’কে দেখতে ইয়াহিয়ার বাড়িতে লেগেছে উৎসুক জনতার ভিড়। প্রতিনিয়ত খুলনা, পাইকগাছা, শার্শা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ উপজেলার দূর-দূরান্ত থেকে শতশত নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকে মোবাইলে ধারণ করছেন ষাঁড়টির ছবি। আবার বাড়িতে আসা উৎসুক জনগণকে সাধ্যমতো আপ্যায়নও করাচ্ছেন ইয়াহিয়া দম্পতি।

ইয়াহিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে গরু দেখতে বাড়িতে লোকজন আসা শুরু হয়েছে। গত ১০ দিন ধরে মানুষের ভিড় বেড়েছে।

ইয়াহিয়া বলেন, আমি ক্ষুদ্র (প্রান্তিক) গরু ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সাল থেকে একটা করে বড়ান জাতের (শংকর) গরু পুষে আসছি। ৪৫ হাজার টাকায় তিন বছর আগে ‘হলেস্টিয়ান’ জাতের এই গরুটা কেনা। শখ করে ওর নাম দিছি ‘পালসার বাবু’। গত বছর সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দাম হইলো। বিক্রি করিনি। ঢাকার একটা পার্টি (গরু ব্যবসায়ী) সাড়ে ৮ লাখ দাম বলেছে। গরুর গায় (শরীরে) প্রায় ২০ মণ মাংস আছে। এবার গরুর দাম চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। ওই দামে গরু বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাকে খুশি হয়ে পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেব।

মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আবুজার সিদ্দিকী বলেন, ইয়াহিয়া দম্পতির গরু পালন আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন