১৩০ টাকায় নেমেছে ব্রয়লার মুরগি, হতাশা বাড়ছে খামারিদের

281

সপ্তাহ না ঘুরতে ঘুরতেই ব্রয়লার মুরগির দামে হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটেছে। এদিকে আবারও কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। দাম কমে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম এমন হ্রাস-বৃদ্ধিতে হতাশা বাড়ছে দেশের প্রান্তিক খামারিদের।

গতকাল ১০ এপ্রিল, বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি) এর দৈনিক বাজারদর পর্যালোচনা ক্রলে দেখা যায়, সারাদেশে গড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও ডিম চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় খুচরা বাজারে আগের মতোই দামে মন্দা যাচ্ছে। ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা দরে।

কুড়িগ্রামের খামারি জামাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মতো ছোট খামারিদের জন্য পোল্ট্রি ব্যবসা নয়। খাদ্যে, ঔষধ সহ অন্যান্য জিনিসপত্রে দাম বাড়তি , বাচ্চা কিনেছি ৫০ টাকা পিস। প্রিকেজি খাদ্যের দাম পড়ে ৬০ টাকা। এখন মুরগি যদি বিক্রি করি ১২৫ টাকা তাহলে লাভ কোথায়? বরং লস হচ্ছে প্রায় ২৫ টাকা। এভাবে লোকসান দিতে দিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম আর বাড়বে না।

নারায়নগঞ্জ আড়াইহাজারের পোল্ট্রি খামারি মোস্তাক বলেন, বর্তমানে বস্তা প্রতি খাদ্যের দাম বেড়েছে । এছাড়াও বাচ্চা, ভ্যাকসিন ও ঔষধের দামও চড়া ফলে পোল্ট্রি পণ্য উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে পাইকারী পর্যায়ে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩০ টাকারও নিচে। যার ফলে প্রতি কেজি মুরগিতে লোকসান দিতে হচ্ছে প্রায় ২০-২৫ টাকা। এভাবে চলতে থাকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

রামপুরার খুচরা ব্যবসায়ী সালাম বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০-১৭৫ টাকায় বিক্রি করেছি। কয়েকদিন ধরে পাইকারিতে দাম কমেছে। এ কারণে খুচরা বাজারে ১৫০ কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী পিন্টু বলেন, ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার সম্ভাবনা খুব কম। বরং সামনে দাম আরও কমতে পারে। এখন তো কিছু ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। দাম না কমলে এক সপ্তাহ পরে বিক্রি আরও কমে যাবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১১এপ্রিল ২০২২