২০০ টাকা কেজি গরুর মাংস

611

বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে বসেছিল কোরবানির মাংসের ক্ষণস্থায়ী হাট। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডাক-চিৎকার দিয়েই সেখানে মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়।মূলত যারা কোরবানি দেন তাদের প্রাপ্ত মাংসের একটি অংশ গরিবদের দান করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে। সেই মাংস সংগ্রহ করে নগরীর এই স্থানে বিক্রি করা হয়। প্রতি বছরই কয়েক ঘণ্টার জন্য এমন হাট বসে বলে জানান পোর্ট রোডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুবজ।সবুজ জানান, পেশায় মাছ ব্যবসায়ী হলেও আজ ‘গরিব লোকের’ কাছ থেকে মাংস কিনে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

তিনি বলেন, নিম্নবিত্ত অনেকেই সারাদিন নগরীর বিভন্ন এলাকা থেকে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করে একেক জনে ৩ থেকে ৪ কেজি জমা করতে পারেন। সেই মাংস পোর্ট রোডের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে তারা ২শ থেকে ৩শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে যান। আমরা সেই মাংস বিভিন্ন দামে বিক্রি করি।আরেক দোকানি আব্দুস সালাম বলেন, সন্ধ্যা থেকে ২০ কেজি মাংস আমি কিনে রেখেছি। তার মধ্যে ১৬/১৭ কেজি বিক্রি হয়ে গেছে। এখন যা আছে তা বিক্রি হয়ে গেলে আর নতুন করে কারও কাছ থেকে মাংস কিনে রাখবো না।

তিন আরও বলেন, আমরা কিনে রাখার পড়ে সেগুলো দুইভাগে ভাগ করি। খালি মাংস এবং হাড়সহ মাংস। এরপর যে যেমন চায় আমরা সেভাবেই দেই।একদিনের জন্য মাংস ব্যবসায়ী মাছুম বলেন, হাড়সহ মাংস ৫শ এবং খালি মাংস ৬শ টাকায় বিক্রি করছি। যারা কোরবানি দিতে পারেন না তারা এখান থেকে মাংস কিনছেন। অনেকে অপেক্ষা করছেন মাংস নেওয়ার জন্যও।

মাংস ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, এখান থেকে মাংস নিলে আসল গরুর মাংস পাচ্ছি। দোকান থেকে কিনলে গরু কিনছি নাকি মহিষের মাংস দিচ্ছে তা জানি না। লাভ এটুকুই।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছয়জন বিক্রেতা মাংস বিক্রি করছেন। সবাই প্রায় একই দামে বিক্রি করছেন।মাংস সংগ্রহ করে বিক্রি করতে আসা হতদরিদ্র হারুন বলেন, দিনে তিন কেজি মাংস সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এখানকার দোকানিদের কাছে ১২শ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা ৯শ টাকা বলেছেন।

হারুন জানান, নিজের পরিবারের জন্য এক কেজির মত রেখেছেন। বাকি মাংস বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৫ জুলাই ২০২১