পেঁয়াজের চারার দাম ২০ গুণ বেড়েছে। মানভেদে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রতি পণ (৮০টি) পেঁয়াজের চারার দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। বর্তমানে এর দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা হয়েছে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ির বিভিন্ন চর থেকে আনা পেঁয়াজের ৮০টি চারা পুরাতন ফুলছড়ি হাটে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ফুলছড়ির এরেন্ডাবাড়ী ইউপির কৃষক রইচ উদ্দিন জানান, পেঁয়াজের চারার দাম বাড়ায় এ বছর পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়েও চাষ করা যাচ্ছে না। আগে জানলে পেঁয়াজের বীজ বপন করে চারা উৎপাদন করতাম।
সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কৃষক শফিকুল ইসলাম বোনারপাড়া বাজারের পেঁয়াজের চারা বিক্রি করতে এসে প্রতি পণ ৮০০ টাকা দাম চান। তিনি জানান, গত বছর জানুয়ারিতে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। তাই চারার দামও কম ছিল। এ বছর পেঁয়াজের দাম বেশি। তাই চারার দামও বেশি।
সাঘাটা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দেবাষিশ চন্দ্র মোদক জানান, পেঁয়াজের চারার দাম এ বছর অনেক বেশি। বরাদ্দ না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজের চারা বা বীজ সরকারিভাবে কৃষকদের দেয়া সম্ভব না। এরপরও সাঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মশলার ফসলের প্রদর্শনীতে উপজেলায় পাঁচ কৃষককে ৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ ও সারসহ বিভিন্ন উপকরণ দেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান জানান, এ বছর গাইবান্ধা জেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৫০০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বীজ থেকে ৬০০ হেক্টর ও পেঁয়াজের চারা দিয়ে কান্ড পেঁয়াজ ৬০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। চারার দাম বৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪জানু২০২০