৩০ কেজির কালো পোপা বিক্রি সোয়া ৯ লাখ টাকায়

136

বঙ্গোপসাগর কক্সবাজারের টেকনাফ অংশে ধরা পড়া ৩০ কেজি ওজনের কালো পোপা (স্থানীয় ভাষায় পোয়া) মাছ অবশেষে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের এক ব্যবসায়ী মাছটি কিনেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী।

শামলাপুর নৌঘাটের জেলে কমিটির সভাপতি মাঝি সিরাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিবপাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় সৈয়দ আহমদের ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। দুপুর ১টার দিকে জেলেরা বাহারছরা নৌঘাটে ৩০ কেজি ওজনের কালো পোপার দাম হাঁকান সাড়ে সাত লাখ টাকা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ দেখতে মানুষ ভিড় করেন।

সৈয়দ আহমদের ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, পেটের দায়ে শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য আমরা সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে পাঁচ মাঝিমল্লাসহ ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে রওনা দিই। এর মাঝে বারো বাইন এলাকায় গিয়ে জাল ফেলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে একটি বড় কালো পোপা মাছ আটকায়। মাছটি জালে ধরা পড়ার পর জেলেরা বেজায় খুশি।

ট্রলার মালিক সৈয়দ আহমদ বলেন, মাছটি সাড়ে সাত লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছিল। পরে চার লাখ টাকায় সেটি কিনে নেন মো. ইউনুস নামের এক মাছ ব্যবসায়ী। শাপলাপুরের বাসিন্দা ইউনুস বলেন, টেকনাফের সাবরাং বাহারছড়া ঘাট থেকে কালো পোপাটি চার লাখ টাকায় কিনেছি। পরে মাছটি কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে এনে ১২ লাখ টাকা দাম চেয়েছিলাম। কয়েকজন ব্যবসায়ী দর কষাকষি করে ৯ লাখ টাকার উপর উঠছিল না। পরে শামীম আহমেদ মনো সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ীকে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় মাছটি দিয়েছি।

মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায়। তাই বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)। বায়ুথলি বেশ মূল্যবান বলে পোপা মাছের দামও বেশি পাওয়া যায়। এদিকে, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। আগামী ২৩ জুলাই এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। এর মধ্যে পেটের দায়ে অনেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে করে সাগরে মাছ শিকার করছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ট্রলার মালিক স্বীকার করেছেন।