ঢাকা: আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন দেশে ইলিশ মাছ ধরা, বাজারজাত, সংরক্ষণ করা নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০১৮’ এর আওতায় এ বছর ৭ হতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন উপকূলীয় চিহ্নিত৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার ‘ইলশের প্রধান প্রজনন ক্ষেত্র’সহদেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাত করণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নারায়ন চন্দ্র বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ইলিশের জাটকাকে বড় ইলিশে পরিণত করার লক্ষে দেশে ৬টি ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ১ থেকে ২ বছর মেয়াদে জেল অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। একই অপরাধ ২ বার করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
তিনি বলেন, ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে নানামুখী সমন্নিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ইলিশের উৎপাদন আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে যেখানে উৎপাদন ছিল ২.৯৮ লাখ টন। সেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৯৬ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
সারা বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ বাংলাদেশের আহরিত হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে যা একক প্রজাতি হিসাবে সর্বোচ্চ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বলেন, এই ২২ দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ইলিশ সংরক্ষন কার্যক্রমে দেশবাসীর সহযোগীতা কামনা করে নারায়ন চন্দ্র বলেন, এ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে সরকারী প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আপামর জনগণ-বিশেষ করে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আন্তরিক সহযোগীতা অপরিহার্য। দেশবাসীর কাছে তাই অনুরোধ থাকবে, আপনারা বন্ধ মৌসুমে মা ইলিশ শরা, কেনা/বেচা এবং খাওয়া থেকে বিরত থেকে জাতীয় মাছ ইলিশের উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহবায়ক করে সহযোগী সকল সংস্থার প্রতিনিধিকে আন্তর্র্ভূক্ত করে একটি মনিটরং টীম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও দেশব্যাপী বাস্তবায়িত কার্যক্রম সমন্বয়সাধনের লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তরে কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল, বিভাগীয় মনিটরিং টীম এবং সদর দপ্তর ও বিভাগীয় দপ্তরে কন্ট্রোাল রুম গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজিসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন