গবাদি পশুর পেট ফাঁপা রোগ!

1370
এই রোগে অবহেলা করলে অনেক সময় পশুর মৃত্যুও ঘটে। তাই, খামারে কিছু অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় ঔষুধ সংগ্রহে রাখুন; যেমন- আদা ও খাবার সোডা রাখতে পারেন।
আসুন জেনে নেয়া যাক পেট ফাঁপা রোগ সম্পর্কে-
গবাদিপশুর গলায় কিছু আটকালে, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে বদহজম দেখা দেয় এবং রুমেনের গতিশীলতা হ্রাস পেয়ে সাধারণত এই রোগটি হয়ে থাকে।
এই রোগের লক্ষণ সমূহ-
১. গবাদিপশুর জাবরকাটা বন্ধ হয়ে যায়।
২. আক্রন্ত পশুর খাদ্য গ্রহনে অনিহা দেখা দেয় এবং খেতে চায় না।
৩. আক্রান্ত পশুটি বার বার উঠাবসা করে এবং অনেক সময় নিজের পা দিয়ে পেটে লাথি মারে।
৪. মুখ দিয়ে লালা ঝড়ে।
৫. শরীল দিয়ে ঘাম বের হয় এবং মাঝেমাঝে জিব্বা বাহির করে শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণের চেষ্টা করে।
৬. বাম দিকের পেট ভীষণ ভাবে অনেক সময় ফুলে ওঠে।
৭. শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
৮. অনেক সময় পায়খানা প্রস্বাব বন্ধ করে দেয়।
৯. অতি তীব্র পেট ফাঁপা হলে আক্রান্ত পশুর শ্বাস বন্ধ হয়ে মারাও যায়।
এই রোগের প্রতিকার-
গবাদি পশুর ওজন বুঝে আদার রস ১০০ গ্রাম বা ১৫০ গ্রাম বা প্রয়োজনে আরো কম ও বেশি খাওয়াতে হবে।
সাথে খাবার সোডা ওজন বুঝে ২ চামচ বা ৫ চামচ বা প্রয়োজনে কম ও বেশি খাওয়াতে হবে।
এই ফরমূলা পেট ফাঁপার জন্য খুবই কার্যকরি ঔষুধ।
(গর্ভকালেও নিরাপদ)
বিভিন্ন রকমের হজম শক্তি বৃদ্ধিকারক মেডিসিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
সুতরাং, বিভিন্ন রকমের হজম শক্তি বৃদ্ধিকারক ঔষুধ আপনার খামারে রাখুন যা গভীর রাতে ও প্রয়োজনে লাগতে পারে। সেগুলো হলো-
সাসপেনশনঃ (গর্ভকালে নিরাপদ)
১।ব্লটষ্টপ ভেট
২।নো ব্লট ভেট
৩।জিরোব্লট ভেট
৪।ম্যাগভেট প্লাস
পাউডারঃ (গর্ভকালে নিরাপদ)
১।বভিকেয়ার
২।রুমেনই প্লাস
৩।জাইমোভেট
৪।ডিজিম্যাক্স
৫।ডিজিটোন
৬।বায়োকাড্
বিভিন্ন রকমেরই আছে……..
ট্যাবলেটঃ (গর্ভকালে নিরাপদ)
১।রুমেনটন
২।বায়োকাড্ এক্সপি
৩।রুমকিওর
৪।বায়োলাক্ট
আরো বিভিন্ন রকমের ট্যাবলেট আছে…..
কখনো কখনো প্রয়োজনবোধ স্যালাইন শিরায় প্রয়োগ করতে হয়।
সুতরাং, আক্রান্ত পশুর ওজন অনুযায়ী সাসপেনশন, পাউডার, ট্যাবলেট, খাবার সোডা, আদার রস ব্যবহার করলে এই রোগ হতে মুক্ত পাওয়া যাবে।
এই চিকিৎসা গুলোই করতে হবে এমন নয়, প্রয়োজনে পশু চিকিৎসক বা নিকটস্থ প্রানী সম্পদ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
সঠিক ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পিত, নিরাপদ ও লাভজনক খামার গড়ে তুলুন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৩জানুয়ারি২০২১