মধুটিলা ইকোপার্ক চিড়িয়াখানার একমাত্র হরিণটি চুরি করে জবাই

106

ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতাধীন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ে অবস্থিত মধুটিলা ইকোপার্ক। পার্কের ভেতরে থাকা মিনি চিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটি রাতের আঁধারে জবাই করে খেয়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ৭-৮ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও একজনকে আটক করে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

রোববার (২৮ মে) রাতে হরিণ জবাইয়ের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৯ মে) বাদশা মিয়া (৩৫) নামে জড়িত একজনকে আটক করে মঙ্গলবার (৩০ মে) শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানান, পার্কের ভেতরে থাকা মিনিচিড়িয়াখানায় থাকা দুইটি হরিণের মধ্যে একটির মরদেহের অংশ বিশেষ কিছুদিন আগে পাওয়া যায় পার্কের ভেতরেই। পরে ওই হরিণটি বন্য শেয়াল খেয়ে ফেলেছে বলে জানান বন কর্মকর্তারা।

এদিকে চিড়িয়াখানায় থাকা একটিমাত্র চিত্রা হরিণটি গত রোববার রাতে বাতকুচি নামাপাড়া এলাকার কতিপয় দুর্বৃত্ত মিলে চুরি করে জবাই করে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। সোমবার ভোরে বিষয়টি টের পেয়ে বন বিভাগের লোকজন তদন্তে নামেন। বাতকুচি বাজার থেকে ওই গ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে বাদশা মিয়াকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাদশা মিয়ার পুকুর থেকে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।

বন বিভাগের তথ্য মতে, প্রাপ্ত বয়স্ক হরিণটির ওজন প্রায় ৫০ কেজির উপরে ছিল। জবাই করার পর ৫০ কেজির মতো মাংস পাওয়া গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী একটি মামলা করে মঙ্গলবার আটককৃত বাদশাকে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, হরিণ জবাইয়ের ঘটনায় ৭-৮ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদেরও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে কিছুদিনের মধ্যে পার্কের ভেতরে থাকা মিনি চিড়িয়াখানার সংরক্ষিত এলাকা থেকে পরপর দুইটি হরিণ খোয়া যাওয়ার বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ জন্য তারা বন বিভাগকেই দায়ী করেছেন।