মাছের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মাছ বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো ভেজাল মেশানো যাবে না।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে সকাল ৮টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আয়োজিত র্যালি শেষে তিনি এ কথা বলেন। র্যালিটি জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বর ঘুরে আবারো সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন এখন বিস্ময়কর, বৈপ্লবিক পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত। শুধু মাছের উৎপাদন নয় বরং গুণগত মানের মাছ উৎপাদন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মৎস্য সেক্টর গড়ে তোলা এখন আমাদের লক্ষ্য। দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে মৎস্য খাত।’
মাছের উৎপাদন, বিপণনসহ মৎস্য খাতের সব প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মাছের উৎপাদন, বিপণনসহ মৎস্য খাতের সব প্রক্রিয়ায় সরকারের সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে, সহযোগিতা রয়েছে। অধিক পরিমাণে মাছের উৎপাদন করতে হবে। কোনো রূপ অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। মাছ বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো ভেজাল মেশানো যাবে না। দেশ গঠনে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্যরা মৎস্যজীবীরা ও মৎস্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।