চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে “মেরিট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩” অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে চুয়েটে বিভিন্ন লেভেলে অধ্যয়নরত মোট ১০৫ জন আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কানাডা (চুয়েট ট্রাস্ট ফান্ড), চুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোঃ কবির আহমেদ ভূঞা এবং চুয়েটের প্রথম ব্যাচের ছাত্র প্রকৌশলী মাহমুদুজ্জামান খানের অনুদানে এসব মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিভিন্ন লেভেলের ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৫২ জনের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আজ ১৫ই অক্টোবর (রবিবার) ২০২৩ খ্রি. সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান সান্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বি অ্যান্ড টি গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান, চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ কবির আহমেদ ভূঁঞা এবং চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারাণ সম্পাদক প্রকৌশলী মেজর মোঃ ফিরোজ খাননুন ফারাজী (অবঃ)। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চুয়েট কানাডা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশল মোঃ হাবিবুর রহমান পিইঞ্জ, পিএমপি, চুয়েট অস্ট্রেলিয়া অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী ড. আবদুল্লাহহ আল মামুন এবং চুয়েটের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, পিইঞ্জ। ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী ও এমআইই বিভাগের প্রভাষক জনাব তাসমিয়া বিনতে হাই’র সঞ্চালনায় এতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ‘১৯ ব্যাচের ইটিই বিভাগের তানজীম আহমেদ রেজা এবং ইইই বিভাগের সায়মা সুুলতানা চৈতী। “মেরিট অ্যাওয়ার্ড ও বৃত্তি প্রদান” অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “অ্যালামনাইরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহযোগী ও অগ্রযাত্রার নিয়ামক। অ্যালামনাইয়ের সাথে বর্তমান শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্কিং বাড়াতে এ ধরনের উদ্যোগ আশাব্যাঞ্জক। চুয়েট থেকে দীর্ঘ ৫৫ বছরে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বের হয়েছে। সবাই দেশ-বিদেশে দক্ষতার সাথে অবদান রেছে চলেছেন। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জ্ঞানভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী কার্যক্রম চলমান। আমাদের অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিউএস র্যাংকিংয়ে সাম্প্রতিক সফলতা তারই স্বাক্ষর বহন করে। চুয়েটের সার্বিক অগ্রযাত্রায় ভবিষ্যতেও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানাই।”