ভোলা: জেলায় চলতি রবি মৌসুমে ১০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক বিনামূল্যে সার ও বীজ পেয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলার ৭ উপজেলায় ভুট্রা, সরিষা, খেসারী, ফেলন, বিটি বেগুন, চিনামাদাম ও মুগ ডালের জন্য সরকারি এ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকরা উন্নত বীজের ব্যবহার ও নতুন জাত উৎপাদন করতে পারবে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, উন্নত জাতের এসব বীজ কৃষকদের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। সাধারন জাতের চেয়ে দ্বিগুণ ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে এসব জাত থেকে লাভবান হবেন কৃষকরা। জেলার মোট ১০ হাজার ৯৯ জন কৃষকের মধ্যে সদর উপজেলায় দেয়া হয়েছে ১৯শ ৪০ জন কৃষককে, দৌলতখানে দেয়া হয়েছে ৯শ ১৪জন, বোরহানউদ্দিনে ১১শ ১৫জন, তজুমুদ্দিনে ১২শ ৩০, লালমোহনে ১৭শ ৯০, চরফ্যাসনে ২৪শ ৮০ ও মনপুরায় ৬৩০ জন কৃষকের মাঝে এ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রসান্ত কুমার সাহা জানান, ইতোমধ্যে জেলা সদরসহ সকল উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরকারি কৃষি প্রণোদনা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা বিনামূল্যে এসব প্রণোদনা পেয়ে খুশি।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজউদ্দিন বলেন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের এসব ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার এ প্রণোদনা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে উন্নত বীজটা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে পরবে। কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে ও দেশে এসব ফসলের উৎপাদন বাড়বে। এছাড়া কৃষকরা পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে এ প্রণোদনার মাধ্যমে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির জানান, প্রত্যেক কৃষককে ভুট্টার জন্য বীজ দেয়া হয়েছে ২ কেজি করে, ডিএপি সার ২০ কেজি ও এমওপি সার দেয়া হয়েছে ১০ কেজি করে। সরিষার জন্য বীজ দেয়া হয়েছে ১ কেজি, ২০ কেজি ডিএপি ও এমওপি দেয়া হয়েছে ১০ কেজি করে। বিটি বেগুনের জন্য বীজ দেয়া হয়েছে ২০ গ্রাম করে, এমওপি ১০ কেজি ও ডিএপি ২০ কেজি করে দেয়া হয়েছে।
একইভাবে খেসারীর জন্য দেয়া হয়েছে ৮ কেজি করে বীজ, ডিএপি দেয়া হয়েছে ১০ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি। ফেলন বীজ ৭ কেজি করে, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি। চিনাবাদামারে জন্য বীজ ৮ কেজি ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি। এছাড়া মুগ ডালের বীজ হচ্ছে ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি করে দেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালীয় গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক লোকমান আলী ও বারেক মাতাব্বর বলেন, তারা ভূট্টা, সরিষা, খেসারী, ফেলন, বিটি বেগুন, চিনামাদাম ও মুগ ডালের জন্য সরকারি বীজ ও সার পেয়েছেন। গতবছর সরিষা, চিনামাদাম, মুগডাল চাষ করে লোকসান দিয়েছেন। তাই এ বছর উন্নত জাতের বীজ রোপণে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। শুধু লোকমান, বারেক নয় এমন অনেক কৃষকরাই ভালো জাতের বীজ ও সার পেয়ে উচ্ছাসিত।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএস